নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্ডিয়া গেটের অদূরেই তৈরি হওয়া দেশের প্রথম ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবারও এ কথা স্পষ্ট করলেন, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।’ এ বারের নির্বাচনী প্রচারে এই স্লোগান দিয়েই তোপ দাগা শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এ দিন ফের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে মোদী বলেন, দেশের সুরক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা করতে ছাড়েনি তারা। বাহিনী ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দাবি করেছিল। তা না পেয়েই শত্রুদের সঙ্গে লড়ছে জওয়ানরা। মোদী দাবি করেন, তাঁর জমানায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার বুলেট প্রুফ জ্যাকেট বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনার মানবাধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা, কেন্দ্র-কাশ্মীরকে নোটিস


মোদী এ দিন ‘এক পদ এক পেনশন’ ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের অবদান তুলে ধরেন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। তাঁর দাবি, মনমোহন সরকারের আমলে ৫০০ কোটি টাকা পেনশন খাতে বরাদ্দ করা হয় সেখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে মোদী সরকারের জমানায়। গান্ধী পরিবারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মোদী অভিযোগ করেন, বফর্স থেকে হেলকপ্টার দুর্নীতি সব জায়গায় একটি পরিবার যুক্ত রয়েছে। এমনকি রাফালকে দেশে না আনার সব ধরনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- জোট চায় না কংগ্রেস! দিল্লিতে একা লড়ার ইঙ্গিত অরবিন্দ কেজরীবালের


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন বলেন, অনেক বছর ধরেই জাতীয় সমর স্মারকের দাবি  ছিল। গত এক দশকে এক-দু’বার উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনও কাজ এগোয়নি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই এই কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রায় ৪০ একর জমির উপর তৈরি ওই স্মারক সৌধের পাশে ২৫,৯৪২ জওয়ানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধ, ১৯৪৭, ৬৫, ও ৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৯৯-তে কার্গিল যুদ্ধের শহিদ সৈনিকদের সম্মান জানানো হয়েছে। ২০১৫ সালে ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয় ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল প্রকল্পের কাজ।