মলদ্বীপকে ১৪০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন মোদী!
উল্লেখ্য, একাধিক প্রকল্পে চিনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে সলিহের পূর্বসূরী ইয়ামিনের সরকার। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের চিনা প্রীতি সর্বজনবিদিত
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে চিন। মলদ্বীপে নয়া সরকার আসতে মালের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে নয়া দিল্লির সম্পর্ক। সোমবার, মলদ্বীপকে ১৪০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়ে কূটনৈতিকভাবে সম্পর্কের আর এক ধাপ এগোলো নয়া দিল্লি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপমালা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ তিন দিনের সফরে এসেছেন ভারতে। সোমবার, দুই দেশের বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক করেন সলিহ এবং নরেন্দ্র মোদী। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মলদ্বীপের সামাজিক এবং আর্থিক উন্নয়নে ১৪০ কোটি ডলার সাহায্য করছে নয়া দিল্লি। ওই দেশের আর্থিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি এবং ঋণ সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে ভারতের এই অনুদান।
আরও পড়ুন- ‘অদ্ভুত স্পর্ধা দেখাচ্ছে গান্ধী পরিবার’, রাফাল ‘ভুলের’ পাল্টা তোপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
নয়া দিল্লির এমন ‘চমকের’ প্রমাদ গুনছিল বেজিং। সম্প্রতি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে বলা হয়, ভারতের সাহায্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত মলদ্বীপের। ঋণ মেটাতে গিয়ে ‘নয়া ঋণদাতা’ তৈরি করা মালের বুদ্ধিদীপ্ত কাজ হবে না বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দেয় ড্রাগনের দেশ।
আরও পড়ুন- নাকে ‘ফিডিং টিউব’ নিয়ে সেতু পরিদর্শনে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় বিজেপি
উল্লেখ্য, একাধিক প্রকল্পে চিনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে সলিহের পূর্বসূরী ইয়ামিনের সরকার। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের চিনা প্রীতি সর্বজনবিদিত। ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারে মলদ্বীপকে কার্যত কাঠের পুতুল বানিয়ে তোলে বেজিং। এমনকী জিনপিংয়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’-এ যুক্ত করা হয় মলদ্বীপকে। দ্বীপমালা রাষ্ট্রটি সাংবিধানিক সংকটের মুখোমুখি হলে সাধারণ নির্বাচনের পথে যেতে বাধ্য হন আবদুল্লা ইয়ামিন। নির্বাচনে ‘চিনপন্থী’ ইয়ামিনকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন ‘ভারতপন্থী’ ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ। ভারতের কূটনৈতিক চালে বড়সড় ধাক্কা খায় ড্রাগনের দেশ।