নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যাবিধ্বস্ত কেরলের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ত্রাণের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে এই অর্থ সাহায্য করা হবে। বন্যায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি, গুরুতর জখমদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যায় বিপর্যস্ত কেরল। স্তব্ধ জনজীবন। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২৪ জন। প্রায় ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য মিটতেই কেরল উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন সকালে আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিনি। যদিও প্রবল বৃষ্টির জন্য প্রথমে বাতিল করা হয় পরিদর্শন কর্মসূচি। উড়তে পারেনি হেলিকপ্টার। পরে পরিস্থিতি একটু আয়ত্তের মধ্যে এলে আকাশপথে কোচি ও সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যপাল পি সতশিবম ও কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী কে ডে আলফোনস।



বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই তত্ক্ষণাত্ ৫০০ কোটি টাকা ত্রাণের কথা ঘোষণা করেন মোদী। উল্লেখ্য, এর আগে কেরলের জন্য ১০০ কোটি অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজয়ন। সেখানে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপত্কালীন ভিত্তিতে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্য চেয়েছেন বিজয়ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জানিয়েছেন, বন্যার ফলে করলে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৯ হাজার ৫১২ কোটি টাকা।




কেরলের বন্যা পরিস্থিতিকে অবিলম্বে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহল গান্ধী।



কেরলের আচানকোভিল নদীর তীরবর্তী আলাপ্পুঝার কোল্লাকাদাভু গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে জলস্তর। সর্বগ্রাসী বন্যা গিলে খাচ্ছে সবকিছু। বন্যায় সর্বস্ব হারিয়েছেন তাঁরা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তিন বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আরও পড়ুন, কূটনৈতিক বৈঠকে বসেও ভূরিভোজ সারতেন বাজপেয়ী