নিজস্ব প্রতিবেদন:  পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় শহিদের মর্মান্তিক খবর শুনে গোটা দিন  মুখে এক দানা অন্ন তুলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের প্রেস বিবৃতির পর কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে, ভালোবাসার উত্সব উদযাপনে মশগুল দেশবাসী। ঠিক সেই সময়ই দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ খবর আসে পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর আরপিএফ কনভয়ে বড়সড় জঙ্গি হামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন আরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবর আসে। একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৪৪ জন জওয়ান। ঘটনার ভয়াবহতা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে।


বুধবার কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়। প্রেস বিবৃতিতে কংগ্রেস একটি  ছবি দেখিয়ে  কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেন,  পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় আরপিএফ কনভয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সময় করবেট ন্যাশনাল পার্কে একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি হামলার খবর পাওয়ার পরেও শ্যুটিং বন্ধ হয়নি। আরও ঘণ্টাখানেক ধরে চলে সেই শু্যটিং।


আরও পড়ুন: "পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার সময় সিনেমার শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী"


কংগ্রেসের অভিযোগ,  সেদিন  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে শ্যুটিংপর্ব। এরপর পৌনে ৭টা নাগাদ চা-জলখাবার খান। গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজের অগ্রাধিকার স্থির করতে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ বলে মোদীর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ বলেও অভিযোগ করা হয়।



 


রাতেই সরকারি সূত্রে মোদীর ১৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাত্ ঘটনার দিনের কর্মসূচির গোটা তালিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারি সূত্রে দাবি, সেদিন প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বেরিয়ে যান। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দেহারাদুনে চার  ঘণ্টার জন্য আটকে পড়েন তিনি।  বেলা ১১.১৫ মিনিট নাগাদ জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে পৌঁছন তিনি। সেখানে তিন ঘণ্টা থাকেন।


সূত্রের দাবি, জিম করবেটে একটি টাইগার সাফারির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইকো টুরিজম জোন ও রেসকিউ সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এরপর মোটরবোটে কালাগড় থেকে ঢিকলায় যান তিনি। রুদ্রপুরে দুপুর তিনটে নাগাদ একটি  র্যালি হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু ততক্ষণেই পুলওয়ামার   মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেখবর কানে পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সূত্রের দাবি, তখন থেকেই উচাটন ছিলেন তিনি। বারবার ফোনে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, গভর্নরের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছিলেন।


তারপর রামপুর গেস্ট হাউসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সূত্রের দাবি, ঘটনার কথা জানার পর এক মুহূর্তের জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়নি। তিনি কোনও খাবারও মুখে তোলেননি। রামপুর থেকে সন্ধ্যা সাতটায় বেরিয়ে যান তিনি, রাতে দিল্লিতে পৌঁছন।


ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য  প্রধানমন্ত্রী যে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন, কংগ্রেসের সেই দাবি  নস্যাত্ করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যদিও এখনও পর্যন্ত চ্যানেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।