নিজস্ব প্রতিবেদন: আর কিছু ক্ষণের মধ্যে ভারতের মাটি ছোঁবে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার বিমানে চেন্নাইয়ে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত বছর পর এই প্রথম মহাবলিপুরমে ঘরোয়া আলোচনা হবে শি জিনপিং এবং মোদীর মধ্যে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি কাশ্মীর প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রে খবর, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ নিয়ে আলোচনায় জোর দিতে চাইছে না নয়া দিল্লি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ভারতের আসার আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন শি জিনপিং। এবং সরকারিভাবে যৌথ বিবৃতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কাশ্মীর নিয়ে তাঁদের অবস্থানে ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি। তা পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে পাল্টা নয়া দিল্লির বিবৃতিতে। কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্য কোনও দেশের নাক গলানো ভাল চোখে নেবে না ভারত। নয়া দিল্লির এই অবস্থান জেনেই দু’দিনের সফরে আসছেন তিনি।



আরও পড়ুন- আর কবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করবে কেন্দ্র, জিয়াগঞ্জ খুনে উদ্বেগ ভিএইচপি-র


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকলাম ইস্যু নিয়ে টানা ৭৩ দিন ভারত ও চিনের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। যা পরবর্তীকালে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এর পরেও ডোকালাম ও লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের অবস্থানের স্থায়ী সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাতে পারেন মোদী-জিনপিং। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধে আবহে জিনপিংয়ের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিপুল বাজার ধরতেই কিছুটা দায়ে পড়েই মোদীর সঙ্গে শি জিনপিং বৈঠক বসতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের মাটিতে চিন কী প্রতিক্রিয়া দেবে, সে দিকে মুখিয়ে রয়েছেন কূটনৈতিক কারবারিরা।