Bilkis Bano Case: `প্রধানমন্ত্রী আসলে ধর্ষকদেরই সঙ্গে রয়েছেন`!
বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র। সিবিআই নিয়ে আপত্তি করলেও কেন্দ্র তাতে আমল দেয়নি। সাজাপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট সরকারের সুপারিশে মুক্তি পেয়েছে বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা। গর্ভবতী বিলকিস বানোকে ধর্ষণ যে তার পরিবারের সদস্যদের গুজরাট হিংসার সময়ে যেভাবে খুন করা হয়ে তা শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। সেইসব লোকজনের মুক্তির পর প্রশ্ন উঠেছিল এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা কী। ক্রমশ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়ার পেছনে যতটা গুজরাট সরকারের হাত ছিল ততটাই ছিল কেন্দ্রের। এনিয়ে এবার সরব হলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার একটি ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, লালকেল্লা থেকে উনি মহিলাদের সম্মানের কথা বলেন। কিন্তু আসলে উনি ধর্ষকদের সঙ্গেই রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি আর তাঁর উদ্দেশ্য একবারে স্পষ্ট। প্রধনমন্ত্রী আসলে মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
আরও পড়ুন-৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগপত্র না পেলে আমরণ অনশন, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক TET চাকরিপ্রার্থীদের
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময়ে বিলকিস বানো তার পরিবার তার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে বিলকিসের পরিবারের ১৪ জনকে খুন করা হয়। পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ১৫ আগস্টের ভাষণের পরই বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ বছর জেলে কাটানেরা পর তাদের ব্যবহার ভালো বলে মনে করেছিল গুজরাট সরকারের। গোধরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই তাদের মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছিলেন, আমাদের ব্যবহার ও কাজে আমরা এমনকিছু করব না যা মহিলাদের সম্মানহানি করে। মহিলাদের সম্পর্কে আমাদের মনোভাব বদল করার সময় এসে গিয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের তথ্য বলছে, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। সিবিআই নিয়ে আপত্তি করলেও কেন্দ্র তাতে আমল দেয়নি। সাজাপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।