নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কি কমছে? টুইটারে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যা একধাক্কায় কমে গিয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ। তবে জনপ্রিয়তা কমার সঙ্গে এর সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে বন্ধ ও সক্রিয় নয় এমন অ্যাকাউন্টগুলি মুছে দিয়েছে টুইটার। আর তার জেরেই কমে গিয়েছে মোদীর অনুসরণকারীর সংখ্যা। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, আরও অনেক রাজনীতিকের অনুসরণকারীর সংখ্যাই অনেকটা কমে গিয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্টের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এই 'সাফাই অভিযান' চালিয়েছে টুইটার।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী মতোই অনুসরণকারীর সংখ্যা কমেছে রাহুল গান্ধীর। তবে কংগ্রেস সভাপতি ক্ষেত্রে মোদীর মতো ৩০০,০০০ নয়, বরং ১৭,০০০ অনুসরণকারী কমেছে রাহুলের টুইটার অ্যাকাউন্টে। 


নিয়মিত টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যায় নজর রাখে সোশ্যাল ব্লেড ডট কম। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলে অনুসরণকারীর সংখ্যা কমেছে ২,৮৪,৭৪৬। প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে কমেছে ১,৪০,৬৩৫ অনুসরণকারী। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার। 


সপ্তাহের শুরুতেই অবশ্য টুইটার ঘোষণা করেছিল, বিশ্বজুড়ে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলি মুছে দেওয়া হবে। টুইটারের আইনি প্রধান বিজয়া গাড্ডে জানান, ''এটা অনেকের ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া কঠিন। তবে আমরা বিশ্বাসী,  স্বচ্ছতা আমাদের সাধারণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আরও ভরসাযোগ্য করে তুলবে।'' লকড বা বন্ধ অ্যাকাউন্ট স্প্যাম বা বট নয়, এই অ্যাকাউন্ট বেশিরভাগই সাধারণ মানুষই খোলেন।  


এই সিদ্ধান্তের জেরে ধাক্কা খেয়েছেন হাইপ্রোফাইল টুইটার ব্যবহারকারীরা। টুইটারের সাফাই অভিযানের জেরে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর হারিয়েছেন ১,৫১,৫০৯ অনুসরণকারীকে। টুইটারে সপ্রতিভ সুষমা স্বরাজের অনুসরণকারীর সংখ্যা কমেছে ৭৪,১৩২। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কমে গিয়েছে ৩৩,৩৬৩ ফলোয়ার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৯১,৫৫৫।   


ভারতের মতো মার্কিন মুলুকেও একই অবস্থা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসরণকারীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১,০০০০০। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আরও বেশি। তিনি হারিয়েছেন প্রায় ৪ লক্ষ। 


আরও পড়ুন- লাহোরে বিমান থেকে নামতেই গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর মেয়ে