নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফালের পর এবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাহুল গান্ধী। কর্ণাটকে উপনির্বাচনে দারুণ জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, নিজের দোষে অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সংকট কাটাতে আরবিআইয়ের কাছ থেকে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা চেয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ৩.৬ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব গিয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। আরবিআইয়ের কাছে বর্তমানে জমা অর্থের পরিমাণ ৯.৫৯ লক্ষ কোটি। সেই অর্থেক এক তৃতীয়াংশের বেশি টাকা চাওয়া হয়েছে। 


ওই প্রতিবেদনটির পর টুইটারে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ''৩৬,০০,০০,০০,০০,০০০। নিজের মহান আর্থিক নীতির জন্য যে জগাখিচুরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী, সমাধানের জন্য এই টাকাটা দরকার তাঁর''। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার জন্য আরবিআই গর্ভনরের কাছেও আবেদন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়,''রুখে দাঁড়ান পটেল। দেশকে বাঁচান''।   



প্রতিবেদনটির দাবি, অর্থমন্ত্রকের প্রস্তাবটি নিয়ে আরবিআই ও সরকারের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। আরবিআইয়ের মতে, এভাবে সঞ্চয় থেকে খরচ হলে দেশের অর্থনীতির উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে  স্থিতিশীলতা ভঙ্গ হতে পারে ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। 


সরকার ও আরবিআইয়ের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের মন্তব্যে। তাঁর কথায়, ''কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে সম্মান করে না সরকার। দেরিতেও হলে তার প্রভাব আর্থিক বাজারে পড়তে পারে''।    


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর। এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে মঙ্গলবার রাজন বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের সঙ্গে যে যুযুধান তৈরি হয়েছে, তা মিটতে পারে যদি স্বায়ত্তশাসন এবং ভাবনার পারস্পরিক সম্মান করে দুই পক্ষ।” গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের পূর্বসূরী আরও বলেন, “দেশের স্বার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান জানানো উচিত''।


এদিনই কর্ণাটকে উপনির্বাচনে ৪-১ বিজেপিকে মাত দিয়েছে কংগ্রেস। ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সার্বিক ফলাফল- কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট (৪) ও বিজেপি (১)। বেলারি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৯ সালে সুষমা স্বরাজকে হারিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ টানা ১৪ বছর এই কেন্দ্রটি বিজেপি তাদের দখলেই রাখে। কিন্তু এ বারে শেষ রক্ষা হল না।  নিকটতম প্রার্থী বিজেপির জে শান্তাকে ব্যাপক ব্যবধানে হারিয়ে  আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিলেন কংগ্রেস প্রার্থী ভিএস উগরাপ্পা। 


আরও পড়ুন- দীপাবলিতেই এই দেশে পূজিত হয় কুকুর, উত্সবের নাম 'কক্কুর তিহার'