একজন ঋণখেলাপকারীকেও ধার দেয়নি এনডিএ সরকার, মনে করালেন মোদী
২০১৪ সালেই দেশের অর্থ ব্যবস্থায় কংগ্রেস আমূল ক্ষতি করে দিয়েছিল বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋণখেলাপকারীদের কাছ থেকে পাই পয়সা উদ্ধার করা হবে। শনিবার ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সূচনা অনুষ্ঠানে হুঙ্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনে করিয়ে দিলেন,''২০১৪ সালের আগে ঋণ নিয়ে মেটাননি ১২ জন। একজন ঋণখেলাপকারীকেও ধার দেয়নি এনডিএ সরকার''।
কংগ্রেসকে নিশানা করে নরেন্দ্র মোদী বলেন,''কংগ্রেসের ফোন ব্যাঙ্কিং বিপাকে ফেলেছিল দেশের অর্থনীতিকে। একটা ফোন কলেই কোটি টাকার ঋণ দিয়ে দিত ব্যাঙ্কগুলি। একটা পরিবারের জন্যই ব্যাঙ্কের তহবিল রাখা হত। প্রভাবশালীকে ধরলেই পাওয়া যেত ঋণ''। প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, প্রভাবশালীদের মাধ্যমে যাঁরা ঋণ পেয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে ঋণের পাই পয়সা উদ্ধার করা হবে।
২০১৪ সালেই দেশের অর্থ ব্যবস্থায় কংগ্রেস আমূল ক্ষতি করে দিয়েছিল বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''২০১৪ সালে সরকারে আসার পরই বুঝতে পারি, দেশের অর্থ ব্যবস্থায় ল্যান্ডলাইন বিছিয়ে রেখে গিয়েছিল কংগ্রেস। তখনই দেশ ও দুনিয়ার সামনে প্রকাশ্যে আনলে বিস্ফোরণ হত, তা সামলানো যেত না। এতটাই অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল ওরা''।
উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের বর্ধিত অনুত্পাদক সম্পত্তি ও ঋণখেলাপকারীদের নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। ঋণ খেলাপ করে বিট্রেনে আশ্রয় নিয়েছেন বিজয় মালিয়া। তাঁকে দেশে প্রত্যর্পনের মামলা চলছে ব্রিটেন হাইকোর্টে। প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপ করে বিদেশে পালিয়েছেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি।
শনিবার ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ''বছর শেষ হওয়ার আগে দেশের ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ডাকঘর থেকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করা হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আর ব্যাঙ্ক পর্যন্ত যেতে হবে না। ঘরে ঘরে দিয়ে ব্যাঙ্ক খাতা খুলবেন ডাক কর্মীরাই''।
শুধু ব্যাঙ্কিং পরিষেবাই নয়, বরং মিউচুয়াল ফান্ড ও বিমাও করাবেন ডাক কর্মীরা। বাজাজ এলায়্যাঞ্জ জীবন বিমা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে আইপিপিবি। আরও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে এই পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা হতে চলেছে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক।