নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় ভারতীয় সেনা কনভয়েয় জঙ্গি হামলার পর কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ। মোদী জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই এই হামলার প্রত্যুত্তর দেবে ভারত। তার জন্য ভারতীয় সেনাকে সমস্ত রকম স্বাধীনতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই মতোই মঙ্গলবার ভোর রাতে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আঘাত হানল  ভারতীয় বায়ুসেনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলওয়ামার কাণ্ডের পরই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা উল্লেখ করেছিলেন মোদী। তবে এখানেই শেষ নয়। অপারেশনের আগের রাতে, কার্যত সারা রাত জেগে গোটা অভিযানের ওপর নজর রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, তিন মন্ত্রীকে নিয়ে গোট ঘটনার তদারকি করেছেন তিনি। তাঁর উপস্থিতিতেই হয়েছে সমস্ত পরিকল্পনা। সারারাত অভিযানের পুঙ্খাণুপুঙ্খ  খবর নিয়েছেন মোদী।


সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২: পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাতের পরই মন্ত্রীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মোদী


কী ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, কী ভাবেই বা চলল সমস্ত হামলা তিন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সেই গোটা বিষয়টাই দেখভাল করছেন তিনি। হামলা চলাকালীন ওয়াররুমেও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। গোটা অপারেশন হয়েছিল সাউথ ব্লকে।  উল্লেখ্য, পাক সেনাবাহিনীর ওপর নয়, সম্পূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরেই ।  কী ভাবে গুলি চালানো হবে, কী ভাবেই বা চলবে অপারেশন! বিগত ১ সপ্তাহ ধরে সাজানো হয়েছিল সেই ঘুঁটি, চলেছে প্রশিক্ষণ। এর জেরেই ২০ মিনিটে নিকেশ হল পাকিস্তানের প্রায় ৩০০ সন্ত্রাসবাদী। 


উল্লেখ্য, আজ বিকাল পাঁচটার সময়ে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। সেখানেই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। পরপর্তী পদক্ষেপ নিয়েও কথা বলবেন তিনি। পাশাপাশি বালাকোটে ভারতীয় সেনার যোগ্য জবাবের পর দিল্লিতে সাতসকালেই বৈঠক সেরেছেন মোদী। ক্যাবিনেট কমিটির ওই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-সহ ভারত সরকারের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক।


নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে ওই বৈঠক চলছে। এর আগে পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পরদিনও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই কমিটি বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।