রাষ্ট্রসঙ্ঘের পর সোল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত নরেন্দ্র মোদী
ধনী ও গরিবদের মধ্যে সামাজিক ও আর্থিক ভেদাভেদ কমাতে `মোদীনমিকস`কে কৃতিত্ব দিয়েছে সোল শান্তি পুরস্কার কমিটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অবদানের জন্য সোল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা হল নরেন্দ্র মোদীকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে,'নরেন্দ্র মোদীকে ২০১৮ সালের সোল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোল পিজ কমিটি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি, মানবাধিকার উন্নয়নে বিশ্বের দ্রুতশীল আর্থিক বৃদ্ধির দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মোদী। সামাজিক একাত্মীকরণ ও দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে গণতন্ত্রের উন্নতি ঘটিয়েছেন তিনি'।
ধনী ও গরিবদের মধ্যে সামাজিক ও আর্থিক ভেদাভেদ কমাতে 'মোদীনমিকস'কে কৃতিত্ব দিয়েছে সোল শান্তি পুরস্কার কমিটি। নোট বাতিল ও দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ সরকার চালাচ্ছেন বলেও মত কমিটির।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ নীতিরও প্রশংসা করেছে সোল শান্তি পুরস্কার কমিটি। তাদের মতে, আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় বিদেশ নীতি প্রশংসনীয়। 'অ্যাক্ট ইস্ট নীতি' ও 'মোদীমতবাদ'-এর কথাও উল্লেখ করেছে তারা।
বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই সম্মানের জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করে পুরস্কার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপক্ষের সুবিধামত সময়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি হবে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের 'চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ পুরস্কারে'র পর আরও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনের আগে বিষয়টিকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করছে গোটা বিশ্ব। অ্যাক্ট ইস্টের মতো প্রধামন্ত্রীর বিদেশনীতিও প্রশংসিত হচ্ছে''।
দক্ষিণ কোরিয়ার সোলে ১৯৯০ সালে ২৪তম অলিম্পিক গেমস সফলভাবে আয়োজনের জন্য 'সোল শান্তি পুরস্কার' দেওয়া শুরু হয়।
এর আগে ৩ অক্টোবর পরিবেশ রক্ষায় মোদীর ভূমিকার প্রশংসা করে চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ পুরস্কারে সম্মানিত করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্য নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
আরও পড়ুন- সবরীমালা মন্দিরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা, সমাজকর্মী রেহানা ফাতিমাকে ইসলাম থেকে বিতাড়ন