নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার ভুটান সফর সেরে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বৃহস্পতিবার আবার বিদেশ সফরে রওনা দিলেন। এবার তাঁর গন্তব্য তিনটি দেশ- ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও বাহরিন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে তিনটি দেশে তাঁর সফর বেশ তাতপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদেশ সফর রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রথম গন্তব্য ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মোদী। সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময়ে সাড়ে ৫টা নাগাদ প্যারিসের চার্লস দে গউলে বিমানবন্দরে পৌঁছবে মোদীর বিমান। সন্ধেয় ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত। রাতে মোদীকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। আগামিকাল প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৬ সালে ফ্রান্সে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে স্মৃতি সৌধ উন্মোচনও করবেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্স ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে ফ্রান্স।      



ফ্রান্সের পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদী। সেখান থেকে শনিবার বাহরিন তার পর ফের রবিবার ফ্রান্সে যাবেন। প্যারিসে অনুষ্ঠিত জি সেভেন সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ফ্রান্স রওনা হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় সম্মত হন দুই রাষ্ট্র নেতা।   


কাশ্মীর থেকে ভারত ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করায় আন্তর্জাতিক আদালতে দরবার করছে ইমরান খানের সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাড়া পায়নি পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। সে কারণে মোদীর বিদেশ সফর অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ বলে মত কূটনৈতিক মহলের একাংশের। 


আরও পড়ুন- সময় বড়ই নিষ্ঠুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের জমানায় অমিতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই