নিজস্ব প্রতিবেদন: কমিশন দিয়ে ঘর পাওয়ার দিন শেষ। ২০২২ সালেই দেশের প্রতিটি গরিব পরিবারের মাথার ওপরে ছাদ হবে। গুজরাতের বালসাদ জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাসন ‌যোজনায় উপকৃত মানুষদের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রের আবাসন ‌যোজনার টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের বাড়বাড়ন্তকে নিশানা করেন মোদী। একপ্রকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কথাই টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। রাজীব গান্ধী একসময় মন্তব্য করেছিলেন, কেন্দ্র ১ টাকা দিলে গরিব মানুষের কাছে ১৫ পয়সা পৌঁছায়। তবে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, দিল্লি থেকে ১ টাকা দেওয়া হলে এখন তার ১০০ পয়সাই গরিব মানুষের কাছে পৌঁছায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমনে কমিশনের কোনও জায়গা নেই।


আরও পড়ুন-গ্রিন করিডর করে কলকাতায় ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন, হল না হার্ট প্রতিস্থাপন  


উল্লেখ্য, গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী আবাসন ‌যোজনার আওতায় ১ লাখ ঘর তৈরি হয়েছে। ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে উপকৃত মানুষজনদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কীভাবে ওই ধরনের ভালো মানের ঘর তৈরি হতে পারে দেখেই অবাক হচ্ছি। তবে এই ধরনের ভালো মানের ঘর তৈরি হয়েছে কারণ নতুন সরকারের কমিশন সিস্টেমটাই উঠে গিয়েছে। সরকার ১ টাকা দিলে গরিব মানুষের ঘরে একশো পয়সা পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা ঘর পেয়েছেন নিয়ম মেনেই। এক পয়সাও ঘুষ লাগেনি।


আরও পড়ুন-বড়দের ‘ডিজিটাল রাজনীতির’ পাঠ পড়াবেন অভিষেক


প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাট আমাকে অনেককিছু শিখিয়েছে। গুজরাট শিখিয়েছে কীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও কাজ শেষ করতে হয়। আমার স্বপ্ন হল ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি পারিবারের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা।


বৃহস্পতিবার সকালে গুজরাটে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বালসাদের সমাবেশের পর তাঁর জুনাগড় ও সৌরাষ্ট্রে ‌যাওয়ার কথা। সেখানে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করার কথা। জুনাগড়ে পুলিস ট্রেনিং স্কুলের এক অনুষ্ঠানে ‌যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াওর গান্ধীনগরে গুজরাট ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভাির্সটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও ‌যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।