ওয়েব ডেস্ক : ''তিস্তা চুক্তি অল্প দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আমরা সেই বিষয়েই কাজ করছি। দুই দেশের সুবিধা-অসুবিধা দেখেই এই চুক্তি হবে।'' আজ দিল্লিতে নিজের বক্তব্যে একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল ৪ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজই দুই দেশের মধ্যে ২২টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টও হস্তান্তর হয়েছে সেখানে। দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শেখ হাসিনার এবারের দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা নেই


বংলাদেশকে তথ্যপ্রযু্ক্তি শিল্পে পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করা থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি ছিল আজকের বৈঠকের বিষয়। সেই সঙ্গে রয়েছে উন্নয়ন খাতে বংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের আশ্বাস। আজকের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মোট ২২টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টও হস্তান্তর হয়েছে তাদের মধ্যে।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে স্বাক্ষরিত হল মউ-


১) প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে সাহায্য। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য তাদের ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য


২) পরমাণু জ্বালানি সরবরাহের জন্য সাহায্য


৩) ভারত থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত হাই স্পিড ডিজেল পাইপলাইন তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস


৪) আইন ও বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সাহায্য


৫) দুই দেশের সীমান্তে থাকা খালি জমির ব্যবহার করতে পারা


৬) জলসীমান্তে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে আইন মেনে যৌথভাবে কাজ করা


এগুলির পাশাপাশি, আজই ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। সেই সঙ্গে কলকাতা ও খুলনা মধ্যে বাস সার্ভিসও চালু হয়।