আরও মজবুত হচ্ছে দু`দেশের সম্পর্ক, ফোনালাপে অঙ্গীকার বাইডেন-নমোর
সন্ত্রাস দমনে ভারতের উদ্যোগের পাশে থাকার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত পাশে পাবে বলে মনে করা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেচ্ছা জানানের পর এবার ফোনালাপ। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কথাও তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুদেশের কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করার ব্যাপারে ইতিবাচক কথা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। বাইডেনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কথা হয় ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতিতে কমলার নির্বাচন যে খুব ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- শিল্পের জন্য জমি মিলবে আরও সহজে, সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করছে রাজ্য সরকার
মার্কিন প্রসিডেন্ট নির্বাচনের কিছুদিন আগেই ভারতে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। লাদাখ সীমান্ত ও পূর্ব চিন সাগরে বেজিংয়ের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দুদেশের মধ্যে টু প্লাস টু আলোচনা হয়। কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এর কিছুদিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসতে চলেছেন জো বাইডেন। এখন নতুন প্রেসিডেন্ট এলে দুদেশের সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন হবে কিন তা নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই। সেই জায়গাটা নিয়েই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় চিন যেভাবে তত্পরতা শুরু করেছে তাতে ক্ষুব্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেকখা স্পষ্টভাষায় বলেওছেন মাইক পম্পেও। ভারতের সঙ্গে বৈঠকের পরই তিনি বলেন, গণতন্ত্র বোঝে না চিনা কমিউনিস্ট পার্টি।
মঙ্গলবার জো বাইডেন জানিয়েছেন, বিশ্বের এককাধিক ইস্যু নিয়ে তিনি ভারতকে পাশে পেতে চান। এর মধ্য়ে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা নিয়ন্ত্রণ, দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার মতো বিষয়। দুই নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে টুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আরও পড়ুন- বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা মোদীর, ভ্যাকসিন থেকে জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা
সন্ত্রাস দমনে ভারতের উদ্যোগের পাশে থাকার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত পাশে পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরই H1-B ভিসা পাওয়ার কড়াকড়ি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ লাখ বিদেশিকে গ্রিন কার্ড দেওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তবে প্রশ্ন থাকছে, ট্রাম্পের আমলে চিনের মোকাবিলায় ভারত যেভাবে মার্কিন সমর্থন পেয়েছিল তা কোথায় দাঁড়াবে।