নিজস্ব প্রতিবেদন: আতঙ্ক ছড়াবেন না। প্রস্তুত হোন। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সার্কভূক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই বলেন, ''দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। তা সত্ত্বেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।''  করোনার মোকাবিলায় তাঁর মন্ত্র, প্রস্তুত হোন। কিন্তু অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সার্কভূক্ত রাষ্ট্রনেতাদের মোদী বলেন, ''ভয় না পেয়ে প্রস্তুত থাকাই আমাদের মন্ত্র। আমরা একযোগে কাজ করলে ভালো ফল পাব। করোনা ভাইরাস নিয়ে যাতে গোটা দেশে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে প্রথম থেকে সতর্ক ছিলাম আমরা। ধাপে ধাপে পদক্ষেপ করেছি। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে স্ক্রিনিং শুরু করে দিয়েছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ধাপে ধাপে পদক্ষেপ করেছি।'' মোদী আরও বলেন, ''গোটা দেশে সচেতনতা বাড়াতে চলছে প্রচার। চিকিত্সার সুযোগও বাড়ানো হয়েছে। সব ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। স্ক্রিনিং, সংক্রামিত ব্যক্তির সনাক্তকরণ, কোয়ারাইন্টাইন ও আইসোলেশন পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেছি আমরা।''             


বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''দেশের বাইরে আটকে থাকা ভারতীয়দের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিয়েছি। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৪০০ ভারতীয়কে। পড়শি দেশের নাগরিকদেরও সহযোগিতা করেছি।''    


করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সার্ক গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলিকে নিয়ে শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন পড়শি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। রবিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে ছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবেয়া রাজাপক্ষে, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিথ, নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রিমিয়ার লোটায় শেরিং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগান রাষ্ট্রপতি আসরাফ গনি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহায়ক জাফর মির্জা। 


আরও পড়ুন- গুজরাটে সংকটে কংগ্রেস, রাজ্যসভার ভোটের আগে ইস্তফা ৫ বিধায়কের