পরিবারপিছু মিলবে বছরে ৫ লাখ, আজ বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের সূচনা করবেন মোদী
রাঁচিতে আজ প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে চালু হচ্ছে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি নাম ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে ‘মোদী কেয়ার’। বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে আজ ওই প্রকল্পে সূচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-চলে গেলেন 'রুদালি'র নির্মাতা কল্পনা
দেশে প্রতি ১১ হাজার মানুষের জন্য রয়েছেন মাত্র ১ জন চিকতসক। এরকম এক অবস্থায় চিকিতসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় কোনও পরিবার বছরে ৫ লাখ টাকার চিকিতসার সুযোগ পাবে। যে কোনও সরকারি হাসপাতাল ও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে। উপকৃত হবেন ১০.৭৩ কোটি গরিব পরিবার।
এ বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় তাঁর ভাষণে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বিমার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার পর কেন্দ্রের এই উদ্দোগে আশাবাদী অনেকেই। দেশে এখন বড় সমস্যা টিবি, ম্যালেরিয়া, এইচ ওয়ান এন ওয়ান, ড্রাগ রেজিস্টান্টস, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার। এইসব রোগের চিকতসায় আয়ুষ্মান ভারত বিমা ভালো কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-'চাকরি থেকে ইস্তফা দাও, না হলে গুলি খাও', পুলিশকে হুমকি হিজবুল গোষ্ঠীর
একনজরে আয়ুষ্মান ভারত
চালু হয়ে গেলে এটাই হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প।
উপকৃত হবেন দেশের ৫০ কোটি মানুষ।
আয়ুষ্মান ভারত-এর আওতায় আসবেন ১০.৭৩ কোটি পরিবার।
এই বিমার আওতায় প্রতিটি পরিবার পাবে বছরে ৫ লাখ টাকার বিমা।
মিলবে ক্যাশলেস পরিষেবার সুবিধা।
দেশের ১৭ শতাংশ মানুষ তাদের আয়ের ১০ শতাংশ খরচ করেন চিকতসার পেছনে। পাশাপাশি দেশের ২৪ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ ও শহরের ১৮ মানুষ চিকতসার জন্য ঋণ করেন। এই প্রকল্পের ফলে তারা উপকৃত হবেন।
দেশের গরিব মানুষদের লক্ষ্য করেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় আসছে গ্রামীণ এলাকায় ৮.০৩ মানুষ ও শহরের ২.৩৩ কোটি মানুষ।
এই প্রকল্পে পরিবার কত বড় হবে তার কোনও সীমা নেই। সদস্যদের বয়সের কোনও সীমা নেই। বিমার সুবিধা পেতে দিতে হবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ও রেশন কার্ড।
প্রতিটি হাসপাতালে রোগীকে সাহায্য করার জন্য থাকবে একজন আয়ুষ্মান মিত্র।
ভারতের এই যোজনায় উতসাহী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।