নীতীশ কুমারের ইস্তফা `বলিষ্ঠ পদক্ষেপ`, টুইট প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ওয়েব ডেস্ক : তেজস্বী ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে বলিষ্ঠ ও আপোসহীন পদক্ষেপ বলে সমর্থন জানিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ''দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনার এই পদক্ষেপ সাধুবাদ যোগ্য।''
শুরুটা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA প্রার্থীকে সমর্থন করা নিয়ে। রাজ্যে মহাজোটে থেকেও JD(U) প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে, লালু প্রসাদ যাদবের দল সমর্থন করে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মীরা কুমারকে। এখান থেকেই চিড় ধরা শুরু।
আরও পড়ুন- বিহারে মহাজোটে ফাটল; মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা নীতীশের
এরপর, গত ৭ জুলাই IRCTC টেন্ডার দুর্নীতিতে নাম জড়ায় লালু প্রসাদ যাদব, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু জায়া রাবড়ি দেবী, ছেলে তথা বিহারের বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ও মেয়ে মিশা ভারতীর। তাঁদের বিরুদ্ধে CBI তদন্ত শুরু হয়। বাড়ি থেকে হোটেল, সর্বত্রই চলে অভিযান। এখানেও ধাক্কা খায় মহাজোট। সরকারের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে, 'যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে, কেন্দ্রের নোট বাতিলকে সমর্থন করেছিলেন, আজ তিনিই রাজ্যে RJD-র সঙ্গে জোটে রয়েছেন?'
রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই ঘটনায় কিছুটা ব্যাকফুটে যেতে থাকা নীতীশ সরকার তেজস্বীকে নিজের ইমেজ পরিষ্কার করে ফের সরকারে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। যদিও, লালুপ্রসাদ যাদব সেই দাবিকে সরাসরি নস্যাত্ করে দেন। একই সুর শোনা যায় তেজস্বীর গলাতেও। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে যায় যে জোটের ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে সব জল্পনাকে পিছনে ফেলে কার্যত নিজের ইমেজ ধরে রাখতেই আজ পদত্যাগ করলেন নীতিশ কুমার। সেই সঙ্গে ভেঙে গেল বিহারের মহাজোট।
তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আজকের এই পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী BJP। দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে গতকালই শপথ নিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়। সূত্রের খবর, তাঁকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি বিহারে মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।