TMC বলছে, বহিরাগত; উজবেক প্রেসিডেন্ট-মোদীর বৈঠকে `দক্ষিণেশ্বর মন্দির`
শুক্রবার উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠকে দেখা গেল নজিরবিহীন ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও মনমোহন বসুর কবিতা। কখনও স্বামী বিবেকানন্দ ও অরবিন্দের স্তুতি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নজিরবিহীনভাবে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদীর প্রেক্ষাপটে জ্বলজ্বল করল বাংলার দক্ষিণেশ্বর মন্দির। প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করে ধন্যবাদ জানাল বঙ্গ বিজেপি। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছি।'
শুক্রবার উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠকে দেখা গেল নজিরবিহীন ছবি। ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদীর প্রেক্ষাপটে ভবতারিণীর মন্দির। দিল্লির কূটনৈতিক মহল বলছে,দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে জগৎসভায় তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় টুইট করেছে বাংলা বিজেপি। তারা লিখেছে,'ভারত-উজবেকিস্তান শীর্ষ বৈঠকের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। এভাবে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যকে সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। বাংলা ও বাঙালিদের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।'
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,'বাঙালি, পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছি। আমার পরিবারের সঙ্গে ভবতারিণী মন্দির ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই সবমিলিয়ে আজ গর্বের দিন।'
বিজেপিকে 'বহিরাগত' বলে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়ম করে প্রতিটি সভায় তৃণমূল নেত্রীও নিশানা করছেন, বাংলায় অশান্তি পাকাতে বহিরাগতদের আনছে বিজেপি। ঠিক তখনই মন কি বাত হোক বা ষষ্ঠীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন- অহরহ এখন মোদীর মুখে বাংলা ও বাঙালি। ষষ্ঠীর ভাষণে বাংলা কীভাবে দেশকে পথ দেখিয়েছিল, তা বলতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী বাঙালি মনীষীদের নাম বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত 'মন কি বাতে' আবার আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গে মোদী আওড়েছেন, মনমোহন বসুর বিস্মৃতপ্রায় কবিতা। ঋষি অরবিন্দের মতাদর্শ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন। এবার দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে 'দক্ষিণেশ্বর মন্দির'। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিষয়টি আপাত নিরীহ হলেও রাজনীতি যে বেশ ভালমতোই রয়েছে, তা স্পষ্ট। বাঙালির মন জয়ে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না মোদী।
আরও পড়ুন- মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই সুদীপ্তর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চিঠি, CBI-কে নালিশ শুভেন্দুর