`KYC` মানে `know your constitution`: সংবিধান দিবসে বললেন মোদী
সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত নয়, বললেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: বক্তব্যের শুরুতে তিনি রাজেন্দ্রপ্রসাদ, অম্বেডকর, গান্ধীজির কথা বলেন। ২০০৮ সালের আজকের দিনে পাকিস্তান যে মুম্বই হামলা চালিয়েছিল
তার কথা হলেন। বলেন, কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত নয়। সেদিন যাঁরা দেশকে রক্ষা করেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। দেশ তাঁদের ভুলবে না। তিনি এ-ও জানান, ২৬/১১-র পুনরাবৃত্তি হবে না। তিনি সেদিনের যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
মোদীজি দেশের কাজে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকার কথা বলেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ন্যায় রক্ষার প্রসঙ্গে সকলের ভূমিকার কথা বলেন। আইননির্মাণের প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিতে বলেন। কোভিড-পরিস্থিতিতে দেশের সংসদের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন। করোনা-পর্বে ভারতের নির্বাচন একটা দৃষ্টান্ত। সুচারু ভাবে ভোট পরিচালনার শক্তি আসলে সংবিধানই দিয়েছে, এ-ও জানান। রাষ্ট্রহিতের কথা বলেন। দেশহিত লোকহিতের প্রসঙ্গ তোলেন। এই সূত্রেই সর্দার সরোবর বাঁধের কথা বলেন। কথাপ্রসঙ্গে তিনি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি নির্মাণপ্রসঙ্গও নিয়ে আসেন। তা নিয়ে জনগণের মধ্যে যে উন্মাদনা, তার কথা বলেন। তবে, দেশের চেয়ে বড় কিছু নয়। দেশের সকল মানুষের আত্মবিশ্বাসের কথা বলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সংবিধান প্রসঙ্গে আসেন। বলেন দেশের সকলকে সংবিধান নিয়ে সচেতন হতে হবে। সংবিধানের অনেক স্পেশ্য়াল ফিচার আছে। তবে তিনি বলেন, সংবিধানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কর্তব্য পালন। সেখানে নাগরিক কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানরক্ষা দেশের কর্তব্য।
মোদিজি বলেন, সকলেই জানেন 'কেওয়াইসি' মানে কী? এর অর্থ 'নো ইয়োর কাস্টমার'। কিন্তু তিনি সেই টার্মকে ধার করে একটু বদল দিয়ে তিনি বলেন, 'kyc'
মানে 'know your constitution'। দেশবাসীকে তিনি সংবিধান নিয়ে আরও বেশি জাগ্রত হতে বলেন। বলেন, দেশের নতুন প্রজন্মকেও দেশের সংবিধান নিয়ে সচেতন হতে হবে। তাদের মধ্যে যাতে সংবিধানচর্চা জনপ্রিয় হয় এটাও দেখতে হবে। এক দেশ এক আইনের কথা টেনে আনেন। বলেন কার্যকারিতা নেই এমন আইন নিজে থেকেই অপসৃত হবে।
আরও পড়ুন: দুধ না খেলে হবে না ভাল ছেলে!