নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে কেউ ঢোকেনি। শুক্রবার সর্বদল বৈঠকের পর জাতিকে আশ্বাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, কেউ যদি সীমান্ত পেরিয়ে না আসে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু কীভাবে হল? ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ব্যাখ্যা দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিবৃতি জারি করে জানানো হল, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, '১৫ জুন সর্বদল বৈঠকে গালওয়ানে ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আমাদের ভূখণ্ডে চিনের কোনও অস্তিত্ব নেই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লঙ্ঘন নিয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছিল চিন। তারা বারণ শোনেনি। ১৬ বিহার রেজিমেন্ট সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে। নিয়ন্ত্রণরেখায় লঙ্ঘনের চেষ্টাও সফল হয়নি ওইদিন।'    


গতকাল, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে জানিয়েছিলেন, সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে বসেনি। দখল করা হয়নি ভারতের সেনাছাউনিও। উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। এরপরই শহিদ জওয়ানদের কথা স্মরণ করিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, তাহলে কীভাবে মৃত্যু হল তাঁদের? কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন,'চিনের আগ্রাসনের সময় ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে নতিস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভূখণ্ড চিনের হলে কেন আমাদের সেনাদের মারা হল? তাঁদের কোথায় মারা গেলেন?'     


 



গালওয়ান উপত্যকার ঘটনার পর বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান চেষ্টায় ছিল চিন। সে কারণেই সংঘাত। বিরোধীদের খটকা লাগছে ঠিক এই জায়গাতেই। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম টুইট করেন, 'নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে চিনের সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে না ঢুকলে কেন পুনরুদ্ধারের কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর?'


আরও পড়ুন- দেশের ৬ রাজ্যের ১১৬ জেলার শ্রমিকদের জন্য 'গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান' ঘোষণা মোদীর