নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্কিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নিরীক্ষকদের কাঠগড়ায় তুললেন অরুণ জেটলি। বললেন,''প্রতারকদের শাস্তি দিতে দরকারে কঠোর আইন আনবে সরকার।'' পাশাপাশি জেটলির দাবি, এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের কাঠগড়ায় তোলা হলেও নিয়ন্ত্রকদের ভূমিকাও রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন,''ঋণদাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের ইতি টানতে হবে। অনৈতিক কারবারের অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে।'' 


দুর্নীতির মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে খানিকটা অনুযোগের সুরেই অরুণ জেটলি বলেন, ''দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় ব্যবস্থায় রাজনীতিবিদদেরই কাঠগড়ায় তোলার রেওয়াজ। অথচ নিয়ন্ত্রকদের উচিত তৃতীয় চোখ খোলা রাখা।''


আরও পড়ুন- নীরবে নীরবতা ভাঙলেন নরেন্দ্র মোদী
          
কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, ''নিয়ন্ত্রকদের শুধুমাত্র দোষী করা হচ্ছে কেন? কেন অর্থমন্ত্রক জানে না? ব্যাঙ্কে সরকারের প্রতিনিধিরাই বা কী করছিলেন?'' এনিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন সিব্বল। 


জেটলি পাল্টা সওয়াল করেন, ''পিএনবি জালিয়াতিতে ব্যাঙ্কের ১১,৩০০ কোটি টাকা লুঠেছে নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসি। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বা ব্যর্থ ব্যবসার শ্রেণিতে ফেলা উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরির উদ্যম বাধাপ্রাপ্ত হবে। দেশের অর্থনীতির পক্ষেও এটা কলঙ্ক।'' বিরোধীদের  মত, ব্যর্থতা ঢাকতে নিয়ন্ত্রকদের কাঠগড়ায় তুলছেন জেটলি।


আরও পড়ুন- সুঞ্জান হামলার জবাব দিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি সেনা প্রধানের