নিজস্ব প্রতিবেদন:  উপড়ে পড়েছে বহু গাছ, ভেঙেছে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি, তবুও আমফানের মতো বিধ্বংসী, মারণঘাতী হয়ে উঠতে পারেনি সাইক্লোন নিসর্গ। ঘূর্ণিঝড়ে কপালের জোরে অনেকটাই রেয়াত পেয়েছে বাণিজ্যনগরী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিসর্গে মৃত্য়ু হয়েছে চার জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিসর্গের গতিবিধি
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মহারাষ্ট্র উপকূলে আছড়ে পড়ে নিসর্গ।
টানা ২ঘণ্টা ধরে চলে তাণ্ডব।
সেসময় ঝড়ে সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
ঝড়ে উপড়ে পড়ে বহু গাছ, বহু বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে পড়ে।

নিসর্গের বলি
নিসর্গের তাণ্ডবে মৃত্যু হয় চার জনের।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুম্বইয়ের বাহাগাও অঞ্চলে বাড়ির দেওয়ার ধসে পড়ে মৃত্যু হয় ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম মাঞ্জবি অনন্ত নাভেল।
গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হল দশরথ বাবু নামে এক প্রৌঢ়ের।
বাড়ির চাল বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রকাশ মোকার নামে এক ব্যক্তির। তিনি মুম্বইয়ের হাভেলি তেসিলের বাসিন্দা।
মৃত্যু হয় ১০ বছরের এক কিশোরেরও।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৃতের সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছে মুম্বই।
কারণ কী?

আইএমডি-র কথায় শেষ মুহূর্তে সামান্য উত্তর-পূর্বে বেঁকে গিয়েছে সাইক্লোনের চোখ।
বিকেল চারটের মধ্যেই শক্তিক্ষয় হয়ে যায় সাইক্লোনের।
বুধবার সন্ধেয় মুম্বইয়ে হাওয়ার বেগ ছিল ২৫ কিলোমিটার।
তা না হলে আমফানের মতোই বিধ্বংসী আকার নিতে পারত নিসর্গ, বলছেন আবহাওয়াবিদরা।


আরও পড়ুন: মুসলিমরা জঙ্গি; ওদের চিকিত্সা করার অর্থ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, বিস্ফোরক মন্তব্য মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষের


ক্ষতির পরিমাণ
মহারাষ্ট্রের চারটি জেলা মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে মূলত আহমেদনগর ও পুনে বেশি ক্ষতির শিকার
বহু এলাকায় বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পালগড়, থানে, পুনে এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন।
২৫ লক্ষ মানুষ নিসর্গে ক্ষতিগ্রস্ত