নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পিছনে রয়েছে 'শাইনবাগ গ্যাং'। আন্দোলন আর কৃষকদের হাতে নেই। Zee মিডিয়াকে দেওয়া Exclusive সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কৃষক আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে নকশালরা। আগামী দিনে আন্দোলন থেকে হিংসা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি সূত্রে খবর, কৃষক আন্দোলনে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে নকশালদের। দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে দখল করতে কৃষকদের উস্কানি দিচ্ছে তারা। আগামী দিনে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, হিংসা ছড়াতে পরে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। সেই সূত্র ধরে জাভড়েকর বলেন,'কৃষকদের ঢাল করে হিংসা ছড়াতে পারে নকশালরা। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসেরও ষড়যন্ত্র করেছে তারা।'   


কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে ৩২টি কৃষক সংগঠন। তাদের অন্যতম কীর্তি কিষান সংগঠনের সভাপতি রাম সিং পাটিয়াল বলেছেন,'সরকারের দাবি ভিত্তিহীন। কেউ আমাদের উস্কানি দিচ্ছে না। মিথ্যা প্রচার করে বদনাম করার ধান্ধা সরকারের। সংযুক্ত কিসান ইউনিয়ন সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।'   


কৃষক আন্দোলনে খলিস্তানিরাও রুটি সেঁকছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দিল্লির সীমানা সংলগ্ন এলাকায় কৃষকদের সভায় দেখা গিয়েছে বিতর্কিত ব্যানার। ওই ব্যানারে দেশদ্রোহে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। 


কৃষকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। ভরসা দিয়েছেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থাকছে। বিকল্প প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। তবে তা গ্রহণ করতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, ৩টি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। এর বাইরে কোনও কথা হতে পারে না। কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহও। তবে কোনও সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকার লিখিতভাবে দিতে চাইলেও কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড়। 


আরও পড়ুন- TMC বলছে, বহিরাগত; উজবেক প্রেসিডেন্ট-মোদীর বৈঠকে 'দক্ষিণেশ্বর মন্দির'