নিজস্ব প্রতিবেদন- মঞ্চে অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সৌমিত্র খা, শুভেন্দু অধিকারী। কারও মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার তো বালাই নেই। কারণ তখন অমিত শাহের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে ব্যস্ত শুভেন্দু। পাশে ঘা ঘেঁষাঘেষি করে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে কৈলাস, সৌমিত্র। এমনই একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল দেশের একাধিক সংবাদপত্রে। এমনকী, দেশের প্রথম সারির খবরের চ্যানেলগুলিতেও এই ভিডিয়ো দেখানো হয়েছিল। আর সেই সব ছবি, ফুটেজ হাতিয়ার করে এবার বাংলায় অমিত শাহর সভায় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (Prashant Bhushan)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিবাদী চরিত্র হিসাবে পরিচিত প্রশান্ত ভূষণ। কেন্দ্রের একাধিক নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস আমলেও সরকারের বহু নীতির বিরোধিতায় তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রশান্ত ভূষণ শনিবার মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিত শাহ। তার পরও মেদিনীপুরের সভায় অনেকক্ষণ তাঁকে মাস্ক ছাড়া দেখা গিয়েছে। তাঁর পাশে অনেক নেতারই মুখে মাস্ক ছিল না। ভরা জনসভায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বালাই ছিল না। এক কথায় বললে, স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম-কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভা আয়োজন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই বর্ষীয়াণ আইনজীবী। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় কী করে নিয়ম-কানুন ভাঙা হল, তা নিয়ে সওয়াল করেছেন প্রশান্ত ভূষণ।



তিনি এদিন লিখেছেন, ” বাংলার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে একাধিক দলের উচ্ছিষ্টদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছে বিজেপি। অমিত শাহ জনসভা করছেন মাস্কে না পরে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। এদিকে, করোনার অজুহাতে বিজেপির এই নেতারাই সংসদের অধিবেশন বাতিল করে দেয়। মোদি-শাহর এই জুটি দেশের গণতন্ত্রকে লাটে তুলে দিচ্ছে।”