নিজস্ব প্রতিবেদন: পারিবারিক রাজনীতি নিয়ে কংগ্রেসকে যে খোঁচা বিজেপি দেয়, সেই হাতিয়ারেই তাদের বিঁধলেন নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। তাঁর 'সিন্ধিয়া' পদবীর কথা স্মরণ করিয়ে প্রশান্তের টুইট, পদবী থাকলেও জননেতা, রাজনৈতিক সংগঠক বা প্রশাসক হিসেবে সামান্যই গুরুত্ব জ্যোতিরাদিত্যর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবারই কংগ্রেসের সঙ্গে ১৮ বছরের সম্পর্কছেদ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন ইস্তফাপত্র। বেঙ্গালুরুর রিসর্টে থাকা তাঁর ২২ জন অনুগামী বিধায়কও পদত্যাগ করেছেন। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন গ্বলিয়রের মহারাজা। জ্যোতিরাদিত্যর 'পারিবারিক পরিচয়' নিয়ে তাঁকে বিঁধেছেন প্রশান্ত কিশোর। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। জ্যোতিরাদিত্যর ক্ষেত্রে কি তা খাটছে না? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের নির্বাচনী রণনীতিকার।


প্রশান্ত কিশোর টুইটারে লিখেছেন,''পদবী নিয়ে যাঁরা গান্ধীদের দোষ খুঁজে বেড়ান, তাঁরাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন। কিন্তু ব্যাপারটা হল, পদবী থাকলেও জননেতা, রাজনৈতিক সংগঠক বা প্রশাসক হিসেবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভূমিকা অতি সামান্য।''      


 



এদিন সনিয়া গান্ধীকে পাঠানো ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া লিখেছেন,''চিরকালই আমি রাজ্য ও দেশের মানুষের সেবা করতে চেয়েছি, আমার সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই রয়েছে। কিন্তু এই দলে থেকে আমি তা করতে পারছিলাম না।''



সূত্রের খবর, জ্যোতিরাদিত্যর বিজেপিতে যাওয়ার পিছনে রয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মাধ্যমে জ্যোতিকে কয়েকমাস ধরেই বোঝানো হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, কমলনাথ, দ্বিগ্বিজয় সিং থাকায় কংগ্রেসে তাঁর কোনও ভবিষ্যত নেই।


আরও পড়ুন- সিন্ধিয়ার পর পাইলট? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে সমন সনিয়ার