নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ‘পিকে’ গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে। ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। তখ্ত ধরে রাখতে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাঁর সঙ্গে এক সময় ‘আদায়-কাচকলায়’ সম্পর্ক ছিল, এখন সেই ভোট বৈতরণী পার করে দিতে কেজরীবালের অন্যতম কাণ্ডারী হয়ে উঠেছেন। তাঁর সংস্থা আইপ্যাক টুইট করে জানায়, পঞ্জাব নির্বাচনের পর বোঝা গিয়েছিল আপ একটি শক্তিশালী বিরোধী দল। তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের অমরিন্দর সিংকে সাহায্য করতে ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সাক্ষাত্কারে প্রশান্ত জানিয়েছিলেন, অরবিন্দ কেজরীবাল তাঁকে কটাক্ষ করায় ওই চ্যালেঞ্জ নিতে বাধ্য হন তিনি। ওই নির্বাচনে কার্যত কেজরীবাল বনাম প্রশান্ত কিশোর লড়াই চলেছিল। শেষমেশ কেজরীবালকে ব্যাপক আসনে ‘চেকমেট’ করেন পিকে।


আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো খবর থেকে সাবধান; সতর্ক করল সেনা, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে জারি অ্যাভাইজরি


রাজনৈতিক ময়দানে ভোট কুশলী হিসাবে হাতেখড়ি হয় নরেন্দ্র মোদীর সৌজন্যে। ২০১৪ সালে ব্যাপক জনমত নিয়ে মোদী ক্ষমতায় আসেন। তাঁর পিছনে ব্যাকবোন হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর এই সাফল্যের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করে ব্যর্থ হতে হয় তাঁকে। এরপর বিহারে লালু-নীতীশ জোটের সাফল্য, অন্ধ্র প্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডির জয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে।



এরপরই বিজেপিকে রুখতে ‘পিকের’ শরণাপন্ন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আংশিক সাফল্যও মিলছে সম্প্রতি তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে। তিনটি আসনেই জয় পায় তৃণমূল। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কাকতালীয়ভাবে মমতা এবং কেজরীবাল নিজেদের রাজ্যে ক্ষমতাসীন। তাই তাঁদের সিংহাসন বাঁচানোটাই এখন পিকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।