Gang Rape in UP: মাঠে কাজ করতে দিয়ে গণধর্ষিত ৩ মাসের গর্ভবতী, ইনসাফ চেয়ে ভ্রূণ হাতে থানায় শাশুড়ি
রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে বলে দাবি করে থাকে বিজেপি। আইন যাই বলুক না কেন, রাজ্যে যারা হাঙ্গামায় জড়িত বুলডোজার দিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: এমাসেই লখিমপুর খেরি ও পিলিভিটে একইভাবে মৃত্যু হয়েছে ৩ দলিত তরুণীর। দুটি ক্ষেত্রেই ওইসব তরুণীর মৃতদেহ গাছে ঝুলতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এবার আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল যোগী রাজ্যের বেরিলিতে। গণধর্ষণের শিকার হলেন তিন মাসের গর্ভবতী এক গৃহবধূ। বেরিলির মাঝওয়ান গ্রামে গণধর্ষণ করা হয়ে ওই গৃহবধূকে। এর ফলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। তার পরের ঘটনা আরও মর্মান্তিক। ন্যায় বিচার চাইতে গর্ভপাত হয়ে যাওয়া ভ্রূণ নিয়ে থানায় হাজির হন গৃহবধূ শাশুড়ি। ওই ঘটনায় তোলপাড় গোটা জেলা। খেতের কাজ করতে মাঠে গেলে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। হামলার পর টানা ৭ দিন হাসপাতালে ছিলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন-Dalit Girl Rape: লখিমপুর খেরির পর পিলিভিট, দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করে গায়ে আগুন যোগীরাজ্যে
পুলিস সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর, অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূর গ্রামেরই বাসিন্দা। ঘটনার পর তারা গ্রাম ছেড়ে পালালেও পুলিসের তত্পরতায় তাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার এসপি দেহাত রাজকুমার আগরওয়াল সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, অপরাধীদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। তদন্ত চলছে। নির্যাতিতা মহিলার শাশুড়ি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনজন মিলে আমার পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছে। জেলা পুলিস সুপার আরও জানিয়েছেন, একটি বিষয় নিয়ে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মধ্যে একটা বিবাদ ছিল। তা থেকেই এমন ঘটনা। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পুলিসের দাবি, প্রাথমিকভাবে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণ নিশ্চিত হয়নি। তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর লেখিমপুর খেরিতে ২ দলিত বোনের মৃতদেহ একটি গাছে ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান যে, এই ঘটনার তিন ঘণ্টা আগে বাড়ির বাইরে থেকে তাদের "অপহরণ" করা হয়েছিল। যদিও পুলিস ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করছে। গাছের দুই দিকের একটি ডালে মুখোমুখি ঝুলছে দুই কিশোরীর নিথর দেহ। মাটি থেকে সামান্য উপরেই। বুধবার সন্ধেয় লখিমপুর খেরির নিঘাসান থানা এলাকায় গ্রাম থেকেই উদ্ধার হয় দুই কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ৭ সেপ্টেম্বর পিলিভিটে গণধর্ষণের শিকার হন এক দলিত কিশোরী। এখানেই শেষ নয়, প্রমাণ লোপাট করতে দুষ্কৃতীরা ওই কিশোরীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সোমবার মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। পিলিভিটের কানওয়ালপুর গ্রামে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে এলাকার ২ যুবক। তারপর ডিজেল ঢেলে তার গায়ে আগুল লাগিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে বলে দাবি করে থাকে বিজেপি। আইন যাই বলুক না কেন, রাজ্যে যারা হাঙ্গামায় জড়িত বুলডোজার দিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে মামলাও হয়েছে আদালতে। কিন্তু দলিতদের উপর অত্যাচারে খামতি নেই। রবিবারই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটি ভিডিয়ো কন্ফারেন্স বলেন মুখ্যমন্ত্রী য়োগী আদিত্যনাথ। লখিমপুর খেরি, আমরোহা, বদাউন,গোন্ডা, লখনউয়ে মহিলাদের উপরে যেসব হামলা হয়েছে তাতে প্রশাসনিক গাফিলতি নিজে জেলা প্রশাসনকে কড়া সওয়াল করেন যোগী।