নিজস্ব প্রতিবেদন:  পরনে শাড়ি, টেনে পিছনে খোপা বাঁধা, আঁচল দিয়ে ঢাকা পেট- হনহনিয়ে হাঁটছেন প্রসূতি, কেবল হাঁটছেন রুদ্ধশ্বাসে... প্রখর রোদে পিঠ পুড়ছে, পুলিসের চোখরাঙানিতে জল আসছে চোখে- কিন্তু সবকিছুই উপেক্ষা করে হেঁটে চলেছেন বছর বত্রিশের মহিলা। টানা ১২ ঘণ্টা, একভাবে হেঁটেছেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিকিতা। উদ্দেশ্য সব বাধা পেরিয়ে পৌঁছতে হবে নিজের গ্রামে। লকডাউনে আরও এক মন ভারি করা ছবি ধরা পড়ল মহারাষ্ট্রে।
নেভি মুম্বইয়ের ঘানশোলি থেকে মহারাষ্ট্রের বুলধানা গ্রাম- কয়েকশো কিলোমিটার পথ। এই পথ পায়ে হেঁটেই উজিয়ে দিতে চান নিকিতা। লকডাউনে কাজের জায়গায় আটকে পড়েছিলেন তিনি। ফিরতে পারছেন না, একদিকে খাবার, টাকাপয়সা-সবই ফুরিয়ে আসছে। প্রশাসনের ওপর ভরসা রেখেছিলেন তিনি, কিন্তু আর ধৈর্য্য রাখতে পারেননি। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিকিতা তাই ঠিকই করে ফেলেন বুলধানায় গ্রামের বাড়িতে হেঁটেই ফিরবেন তিনি।


১ কোটিতে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬, বাকি রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে কম, প্রমাণ দিল তৃণমূল
অসম্ভব মনের জোর, আর মনের জোর-ব্যস এই পুঁজিকে সঙ্গে নিয়েই নিকিতা মাথার ওপর ছাউনি ছেড়ে রাস্তায় হাঁটা শুরু করেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে। একটানা হেঁটেছেন প্রায় ১২ ঘণ্টা। মাঝে অবশ্য কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়েছেন।  ক্যামেরা দেখে বললেন, "কী করব বাবু, আমাদের মতো লোকেদের জন্য তো আর জল খাবারের বেশি ব্যবস্থা নেই। সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ফিরতেই হবে এবার।"
ফিরতেই হবে নিকিতাকে! তাঁর সঙ্গে যে রয়েছে এক কুঁড়ি! লকডাউন ফুরিয়ে যাবে, কেটে যাবে দুর্যোগ, সুস্থ সমাজ দেখবে নিকিতার সন্তান। নিকিতার মতন আশাবাদী আমরাও। মনের জোর সঙ্গে থাকলে যে গোটা আকাশটাই চলে আসে হাতের মুঠোয়, তা ফের প্রমাণ করলেন নিকিতা! তবে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েও!