ব্যুরো: আর্থিক সংস্কারে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পষ্ট হল সেই মরিয়া ভাব। রাষ্ট্রপতির ভাষণ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। সর্বত্রই সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানাল হল বিরোধীদের উদ্দেশে।  রবিবারই সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর দূত হয়ে গিয়েছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। সোমবার অধিবেশন শুরুর আগেও সেই অনুরোধের সুর প্রধানমন্ত্রীর কথায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার ন'মাসের মধ্যেই কেন দুশ্চিন্তার ছাপ প্রধানমন্ত্রীর চোখেমুখে? কারণটা খুবই সহজ। চলতি অধিবেশনেই পাস করাতে হবে একাধিক বিল।


অর্থনীতির ঘোড়া ছোটাতে ইতিমধ্যেই একাধিক অর্ডিন্যান্স জারি করেছে মোদী সরকার। ছমাসের মধ্যে সংসদে পাস না করালে, তামাদি হবে সেইসব অর্ডিন্যান্স। এছাড়াও ঝুলে রয়েছে একাধিক বিল। সেগুলি হল,


বিমা বিল: এতে রয়েছে বিমা ক্ষেত্রে উনপঞ্চাশ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি।


GST বিল: কর ব্যবস্থায় সংস্কার এনে অভিন্ন পণ্য-পরিষেবা কর চালুর প্রয়াস। এটি সংবিধান সংশোধনী বিল।


কয়লা খনি বিল: কয়লা দুর্নীতিতে ব্লক বণ্টন বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে এই বিল পাস না হলে তামাদি হবে অর্ডিন্যান্স।


খনি ও খনিজ বিল: কয়লা ছাড়া অন্যান্য খনি বণ্টন আইনে সংশোধনী এনে নিলামের অনুমতি।


নাগরিকত্ব বিল: প্রবাসী ভারতীয়দের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সুগম করতে তৈরি হয়েছে এই সংশোধনী বিল।


মোটর ভেহকল বিল: ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবস্থা সরল করতে আনা হয়েছে এই বিল। বিল আটকে রয়েছে রাজ্যসভায়।


তবে মোদী সরকারকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স। বিরোধীরা তো বটেই, এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন আন্না হাজারেও।


লগ্নিকারীদের বাড়তি সুবিধা দিতে UPA জমানার অধিগ্রহণ আইনে সংশোধনী আনে মোদী সরকার। এবার সেই অর্ডিন্যান্সই সংসদে পাস করানোর চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্র। অনড় বিরোধীদের নরম করতে তাই বার্তা দেওয়া হল রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যেই।


তবে বিল পাসের দায়ভারে কোণঠাসা মোদী সরকারকে সহজে ছাড়তে নারাজ বিরোধী শিবির।


সংসদীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে দিল্লির নির্বাচনীর ফলাফলও। টানা ন'মাস মোদী ম্যাজিকের একতরফা শো দেখার পর দিল্লি ভোটের পর উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। রবিবার পাটনায় নীতিশ কুমারের শপথেও দেখা গেছে বিরোধী ঐক্যের ছবি। রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু মোদী সরকারকে চেপে ধরতে তাই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কৌশলই নিচ্ছে বিরোধীরা।