ওয়েব ডেস্ক : হঠাত্ করে কেউ এই গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হলে, তিনি ভিরমি খেতে পারেন। আরে বলে কি লোকটা? 'রাষ্ট্রপতি ছাগল চরাতে গেছে!' দাঁড়ান দাঁড়ান... চমকে যাওয়ার তো এখনও অনেক বাকি। 'প্রধানমন্ত্রী শহরে গেছে জিনিস কিনতে!' রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এদের নিয়ে একী মশকরা? কান ভোঁ ভোঁ করতে উঠতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে এই 'রাষ্ট্রপতি', 'প্রধানমন্ত্রী' সবই হচ্ছে রাজস্থানের বুন্দির এক-একজন বাসিন্দার নাম। কারোর নাম 'চিপ', তো কারোর নাম আবার 'হাইকোর্ট'। এখানে ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশন লেখেন কোনও এক 'স্যামসাং' বা 'অ্যানড্রয়েড'-এর জন্য। যে কিনা পেটের গন্ডগোল বা জ্বর-সর্দিকাশিতে ভুগছে।


কাঞ্জর, মোগ্গিয়া, বানজারা, মীনা সম্প্রদায়ের মোট ৫০০ পরিবারের বাস এই বুন্দি এলাকায়। শোনা যায়, বুন্দির রামনগর গ্রাম পরিদর্শনের জন্য একবার এক জেলাশাসক এলে, তাঁর জামার 'সুগন্ধি'র প্রেমে পড়ে যান কোনও এক মহিলা। তারপরই তিনি তাঁর নাতির নাম রাখেন 'কালেক্টর'। সেই 'কালেক্টর' অবশ্য কখনও স্কুলে যায়নি, এখন তাঁর বয়স ৫০ বছর। কিন্তু তারপর থেকেই এই গ্রামে প্রশাসনিক প্রধান, সরকারি কার্যালয়ের নামে ছেলেমেয়ের নামকরণ করাটা একটা রীতি হয়ে দাঁড়ায়।


বর্তমানে অবশ্য শুধু আর 'রাষ্ট্রপতি', 'প্রধানমন্ত্রী', 'রাজ্যপাল', 'হাইকোর্ট' নয়; ছেলেমেয়ের নাম রাখা হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল ব্র্যান্ডের নামেও। এই যেমন, 'নোকিয়া', 'গিওনে', 'সিমকার্ড', 'চিপ' প্রভৃতি। শিক্ষার অভাবে গ্রামের অনেকে অপরাধ জগতের সঙ্গেও যুক্ত। কিন্তু তাঁদের ছেলেমেয়েদের নাম হয়তো 'IG', 'SP', 'হাবিলদার', 'ম্যাজিস্ট্রেট'। এমনকী, এই গ্রামের বাসিন্দা 'কংগ্রেস' নামে ইন্দিরা গান্ধীর এক অন্ধভক্ত তাঁর পরিবারের লোকেদের নাম রেখেছে 'সোনিয়া', 'রাহুল', 'প্রিয়াঙ্কা'।


এমনকী বুন্দির আরনিয়া গ্রামে গেলে আপানার আলাপ হতে পারে 'জলেবি', 'মিঠাই', 'নমকিন' নামের মেয়েদের সঙ্গেও...


আরও পড়ুন, টাইটানিকের শেষ ডিনারের মেনুলিস্টে ছিল এলাহি ভূরিভোজের আয়োজন!