নিজস্ব প্রতিবেদন:   মহাত্মা গান্ধী দেশের মাগদর্শক। তাঁর দেখানো পথেই ভারত বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নেবে। আজ ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে এভাবেই আগাম বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগের কথা এবং বর্তমান ভারত তাঁদের বলিদানের ঋণ মেটাতে বদ্ধপরিকর বলে জানান রাষ্ট্রপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বস্ত করে জানান, সেখানকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। তিন তালাক বিরোধী আইন হওয়ায় সেখানকার মহিলারা নতুন জীবন খুঁজে পাবেন বলে জানান রাষ্ট্রপতি।


এ দিন উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রতি সংসদের কাজ নিয়ে প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতা পর এই প্রথম রাজ্যসভা ও লোকসভায় সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা ধরে অধিবেশন চলে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতি এদিন সরকার এবং বিরোধী পক্ষের সদস্যের ধন্যবাদ জানান। তিনি রাজ্যগুলির কাছে আবেদন করেন, সংসদের এমন নজির প্রত্যেক বিধানসভাতেও যেন দেখা যায়। রাষ্ট্রপতির কথায়, সরকার ও নাগরিকের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করা প্রয়োজন। দেশবাসীর মতামত, বিচারভাবনার সম্মান করা উচিত। তবেই দেশ উত্কৃষ্টতার নজির তৈরি করতে পারবে।


আরও পড়ুন- মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সংঘাতেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত, ইঙ্গিতে বোঝালেন শোভন?


রাষ্ট্রপতি অকপটে স্বীকার করেন, আজ পরিস্থিতি বদলেছে। অনুকুল বাতাবরণ তৈরি করেছে সরকার। জনহিতকর প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ঘরে ঘরে জল, বিদ্যুত, শৌচালয় পৌঁছে দিয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে জলশক্তির উপর। দেশবাসীর কাছে রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেন, জল সঞ্চয়ে জোর দেওয়া উচিত সবার। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রশংসা শোনা যায় রাষ্ট্রপতির গলায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বিশেষ জোয়ার এসেছে। সহজেই আমজনতা তার সুবিধা পাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সামিল করতে যুব সম্প্রদায়ের উপর বেশি জোর দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “ওদের স্বপ্নেই ভবিষ্যত ভারতের ঝলক দেখা যায়।”


সমাজে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করার বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দেন তিনি। তাঁর কথায়, মহিলাদের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার কড়া আইন এনেছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির বার্তা দেশ বরাবরই সর্বসমন্বয় এবং ভ্রাতৃত্বের আদর্শে এগিয়ে চলেছে। ‘জিও অর জিনে দো’ এই ভাবনায় সমাজ গঠন কাজ করবে আগামী দিনেও।