নিজস্ব প্রতিবেদন:  “জিডিপি-র নিরিখে বিশ্বের ৫ নম্বর অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছে দেশ।” সংসদের যৌথ অধিবেশনে বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত সাংসদদের অভিনন্দন জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, “সমৃদ্ধ ভারত গড়াই আমাদের লক্ষ্য, দেশের অগ্রগতির পক্ষেই ভোট দিয়েছেন দেশের জনগণ। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সরকারের লক্ষ্য, দেশবাসীকে বন্ধনমুক্ত রাখতে চায় সরকার। জাতপাত নয়, সৌভ্রাতৃত্ব চাই।” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দৃঢ় করতে সক্ষম সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে। দেশের সব স্তরের মানুষ সংসদে নির্বাচিত। এবারের নির্বাচন স্পষ্ট জনমত”


কৃষক, ছোটো ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  “দেশের সব কৃষকদের জন্য কিষাণ সম্মান দেওয়া হবে। ছোটো দোকানদারদের জন্য পেনশন যোজনার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষির উত্পাদন বৃদ্ধিতে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা। গ্রামের উন্নতিতে বিশেষ জোর।  ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য।”


দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করার লক্ষ্য রয়েছে বলে তিনি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় আসন দ্বিগুণ করার জরুরি। আগামীদিনে গ্রামে তৈরি হবে ২কোটিরও বেশি বাড়ি।”


কর ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি বলে এদিন ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।  ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্তের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কালো টাকা রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। কর ব্যবস্থাকে সরল করা হয়েছে।” ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন।


মাওবাদী সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।  ব্যাঙ্কিং পরিষেবাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।  তিনি বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু করা সরকারের লক্ষ্য। ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ডাকবিভাগকে কাজে লাগানো হবে।”


দেশের পিছিয়ে থাকা ১১২টি জেলায় নজর দেওয়া হচ্ছে। তিনি ঘোষণা করেন, মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার। নারীশক্তিকে সম্মান জানাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, “তিন তালাক প্রথার অবসান জরুরি।”তিন তালাক প্রথার অবসানে সাংসদদের অবদান জরুরি বলে জানান তিনি।