ওয়েব ডেস্ক: ধর্মঘটে ঢুকছে না ভিনরাজ্যের ট্রাক। জোগানে পড়ছে টান। বাড়তে শুরু করেছে দামও। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে এ রাজ্যের ট্রাক মালিকরা এখনও ধর্মঘটে নেই। তবে, ৮ এপ্রিল কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হলে তাঁরাও যেতে পারেন ধর্মঘটে। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।বিমার খরচ বাড়ায় ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘটে নেমেছে অল ইন্ডিয়া কনফেডারেশন অফ গুডস ভেহিকলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। গুজরাত থেকে মুম্বই হয়ে কলকাতা। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক।  চেন্নাই থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা হয়ে খড়্গপুর। এই দুই রাস্তা ধরেই প্রধানত রাজ্যে ঢোকে পণ্যবাহী ট্রাক। ধর্মঘটের জেরে ভিন রাজ্য থেকে ট্রাক আসা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, কমছে জোগান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ-ডিম-ফল এবং কিছু সব্জির জন্য ভিনরাজ্যেরওপর নির্ভরশীল এ রাজ্য।ধর্মঘট শুরুর আগে রাজ্যে ঢুকে পড়া ট্রাকগুলিতে আসা মাছ-ডিম-ফল এখনও বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তবে, জোগান ফুরিয়ে আসায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়তে শুরু করেছে দাম। ভিনরাজ্য থেকে ট্রাক আসা বন্ধ থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা দেবে বড় সঙ্কট।জোগানে টান পড়ার এই ছবি রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতেই।এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি যে একেবারে হাতের বাইরে চলে যায়নি, তার বড় কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পেয়ে এ রাজ্যের ট্রাক মালিকরা এখনও ধর্মঘটে সামিল হননি। ফলে, স্থানীয়ভাবে পণ্যের জোগান বজায় আছে।মঙ্গলবার পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাক মালিকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ফের নতুন নোট আনতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক!


ট্রাক মালিকদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টার আশ্বাস দিয়ে আপাতত তাদের ধর্মঘট থেকে দূরে রাখতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে পোস্তা বাজার।৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করির সঙ্গে বৈঠকে বসছে, অল ইন্ডিয়া কনফেডারেশন অফ গুডস ভেহিকলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।এ রাজ্যের ট্রাক মালিকরা বলছেন, সেই বৈঠক যদি ব্যর্থ হয় তা হলে তাদের পক্ষেও আর ধর্মঘটে সামিল হওয়া ছাড়া অন্য রাস্তা খোলা থাকবে না। জোগান যত কমবে ততই বাড়বে দাম। খারাপের দিকে যাবে পরিস্থিতি। আম-জনতা চাইছেন, উঠে যাক ট্রাক ধর্মঘট। তবে, আশঙ্কার মেঘটা থাকছেই।


আরও পড়ুন  চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী কিশোরী আমোনকর