নিজস্ব প্রতিবেদন: নোট বাতিলের পর দুবছর পেরিয়ে গিয়েছে। দেশবাসী এখনও জানতে পারেনি ঠিক কত পরিমাণ কালো টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফিরল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের সময় ঘোষণা করেছিলেন নোটবন্দির ফলে বিদেশ থেকে কালোটাকা ফিরে আসবে, জাল টাকা থাকবে না, জঙ্গিদের টাকার জোগান বন্ধ হবে। এসবের কিছুর লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।


আরও পড়ুন-সেতু ভেঙে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীবাহী বাসের, মৃত ৯


ঠিক কত টাকা পরিমাণ কালোটাকা বিদেশ থেকেফরত এল তা জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে সম্প্রতি একটি আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওই তথ্য দেওয়া যাবে না। পিএমও থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কালো টাকার ব্যাপারে তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এখনও এ সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করলে সেই তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হবে।


উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন কেন্দ্রকে নির্দেশে দিয়েছে কালো টাকা সম্পর্কিত সব তথ্য ১৫ দিনের মধ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই নির্দশকে পাত্তা দিল না পিএমও।


আরও পড়ুন-পাঁচতলা থেকে পড়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, গেটের ফলায় গেঁথে গেল দেহ


সঞ্জীব চর্তুবেদী নামে এক প্রাক্তন আমলা তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন ২০১৪ সালের জুন মাসের পর থেকে কত পরিমাণ কালো টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এল তা জানানো হোক। আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে সিটের ওই তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, কালো টাকা নিয়ে তদন্ত করছে দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। সেইসব স্ংস্থার কার্যকলাপ আরটিআই আইনের বাইরে। পিএমও ওই কথা জানানোর পরই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে যান চর্তুবেদী। কমিশনের সেই নির্দেশেরই জাবাব দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর।


মার্কিন সংস্থা গ্লোবাল ফাইনানশিয়াল ইন্টিরিগ্রিটির মতে ২০০৫-২০১৪ সালের মধ্যে ৭০০ বিলিয়ন ডলার কালো টাকা তৈরি হয়েছে ভারতে।