জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। 'ইন্ডিয়া নাম ব্যবহার করলেই কিছু হয় না। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গেও ইন্ডিয়া নাম ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও INDIA আছে।' এভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় I.N.D.I.A জোটকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদীয় দলের বৈঠকে এই মন্তব্য করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করার পরই আসরে নামেন অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীর বক্তব্যকে সমর্থন করেন রবিশংকর প্রসাদ। মোদীর টিপ্পনিকে সমর্থন করে টুইটে ইন্ডিয়া জোটের কড়া সমালোচনা করেন অমিত মালব্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওদিকে মোদীর মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ভারতবর্ষকে অপমান করলেন মোদী। ইতিহাস সম্বন্ধে জ্ঞান নেই প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। বলেন, মোদীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। প্রসঙ্গত, চব্বিশে দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিজেপি বিরোধী জোটের ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাটনায় বৈঠকের পর বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ২৬ দলের বিরোধী জোটের নাম স্থির হয় I.N.D.I.A.। যার পুরো নাম Indian National Developmental Inclusive Alliance - ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। কমন অ্যাজেন্ডা নিয়েই ২৬ দলের বিরোধী জোট কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে বলে স্থির হয় বৈঠকে। 


সেই মতো বেঙ্গালুরু বৈঠক পরবর্তী মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ায় বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। একদিকে অধিবেশেন শুরুর প্রথম দিন-ই যেমন সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। তেমনই বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় সংসদের উভয় কক্ষ- লোকসভা ও রাজ্যসভা। এমনকি মণিপুর নিয়ে সরব হতে গতকাল রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারও করা হয় আপ সাংসদকে। যার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল। কালকের পর আজও সংসদ চত্বরে প্রতিবাদে সামিল হন বিরোধীরা। এমনকি অধিবেশনের আগে মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকে বৈঠকেও বসে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকে তীব্র চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


প্রসঙ্গত, হিংসাদীর্ণ মণিপুরে একের পর এক বিভীষিকার ছবি সামনে আসছে। সংরক্ষণের দাবিতে আজকে প্রায় ৩ মাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে জাতি হিংসার কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মেইতেইরা। এই মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বাস মেইতেইদের। ওদিকে কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের সংরক্ষণের অধিকার দাবির বিরোধিতা করেছে কুকিরা। কারণ, মেইতেইরা সংরক্ষণের আওতায় এলে তাঁরা বনে প্রবেশে অগ্রাধিকার পেয়ে যাবে। এই নিয়ে গত ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। 


জাতি হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরের একের পর এক ভয়াবহ ছবি সামনে আসছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীর আশি বছরের বৃদ্ধা স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।  ২ বোনকে গণঘর্ষণের পর খুনের অভিযোগ সামনে এসেছে ইম্ফলে। বিষ্ণুপুর জেলার এক লোকালয়ে যেমন একটি বাড়ির বাঁশের বেড়ার মাথায় উদ্ধার হয়েছে কাটা মুণ্ডু। ওদিকে কাংপোকপি জেলায় ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও তাঁদের নগ্ন হাঁটানোর ভিডিয়ো সামনে আসে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় দেশ। ৪ মে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল। তার আড়াই মাসের মাথায় প্রথম গ্রেফতার হয় এই ঘটনায়। 


আরও পড়ুন, Ram Mandir, Ayodhya: লোকসভা ভোটের আগেই রামমন্দির উদ্বোধন? প্রাণপ্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ মোদীকে!


Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর! কিন্তু কেন? জেনে নিন...



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)