গণপিটুনির ঘটনায় রাজনীতি করে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে বিরোধীরা: মোদী
গণপিটুনির ঘটনায় মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গণধোলাইয়ের মতো ঘটনাকে রাজনৈতিক লাভের লক্ষ্যে ব্যবহার করছে বিরোধীরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সাক্ষাত্কারে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়,''ধর্ষণ ও গণপিটুনির মতো অপরাধকে পরিসংখ্যান দিয়ে রাজনীতি করা উচিত্ নয়। সবাই মিলে বিরোধিতা করা দরকার''।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''এই ধরনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজনীতি করা অত্যন্ত হাস্যকর। হিংসা ও অপরাধের ঘটনায় মিলিতভাবে বিরোধিতা না করে রাজনৈতিক লাভ তুলছে বিরোধীরা। এটা বিকৃত মানসিকতার পরিচয়''। মোদী আরও বলেন, ''গণপিটুনি ও এই ধরনের মানসিকতার বিরুদ্ধে একাধিকবার স্পষ্টভাবে সোচ্চার হয়েছে আমার দল। সমাজে একতা ও শান্তির লক্ষ্যে সকলকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে''।
গত মাসে বিজেপি শাসিত রাজস্থানের আলওয়ারে গণধোলাইয়ের ঘটনার পর মোদী সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ''মোদীর 'নতুন ভারতে' মানবতার জায়গায় এসেছে ঘৃণা। মানুষকে পিষে হত্যা করা হচ্ছে''। গণপিটুনির ঘটনায় সংসদেও সরব হয়েছে বিরোধীরা।
জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও মুখ খুলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়,''সংবিধানের উদ্দেশ্য ও বাবা সাহেব আম্বেদকরের স্বপ্ন এখনও অধরা। তাঁর স্বপ্নপূরণ ভারতবাসীর দায়িত্ব। আম্বেদকরের স্বপ্নপূরণে সংরক্ষণ একটি পন্থা। সংরক্ষণ থাকবেই। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশকে শক্তিশালী করার যে স্বপ্ন আম্বেদকর দেখেছিলেন, সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। সবকা সাথ সবকা বিকাশ আমাদের মন্ত্র। গরিব, প্রান্তিক, দলিত, আদিবাসী ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষাই অগ্রাধিকার''।
২০১৯ সালের আগে কেন শরিকরা বিদ্রোহ করছে? তার জবাবে মোদী বলেন,''লোকসভায় অনাস্থাপ্রস্তাব ও রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফল আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবে। এটাই ইঙ্গিত দেবে, কোনও জোট ঐকবদ্ধ রয়েছে, কারা ভেঙে পড়ছে! শরিক নয়, এমন দলের সমর্থনও পেয়েছিল আমরা। ধীরে ধীরে বিজেপি প্রসারিত হচ্ছে। নতুন নতুন সঙ্গীও আসছে''।
মোদী বনাম বিরোধী জোট নিয়ে কি শঙ্কায় ভুগছেন? নরেন্দ্র মোদীর জবাব, সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে নিশ্চিত বিরোধীরা, তাই একা লড়াই করার সাহস হচ্চে না। মানুষের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার অনেক সময় পেয়েছে তারা। কিন্তু দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও কুশাসনেই জড়িত ছিল তারা। জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নির্বাচনী অঙ্ক আর খাটবে না। বিজেপির উন্নয়ন নির্ভর রাজনীতির উপরে ভরসা দেখাচ্ছেন মানুষ। একের পর এক রাজ্যে বিজেপিকে বেচে নিচ্ছেন মানুষ। দুর্নীতিমুক্ত ও পরিশ্রমী সরকার দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।
রাহুল গান্ধীর আলিঙ্গন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওটা শিশুসুলভ ছিল কিনা, তা আপনারা বিচার করবেন। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে চোখ টেপা দেখে নেবেন, সবটা বুঝে যাবে। আমি পরিশ্রমী। নামী মানুষের সঙ্গে তুলনায় আসতে চাই না। ওরাই সিদ্ধান্ত নেয়, কাকে ভালবাসবে, কাকে ঘৃণা করবে।
আরও পড়ুন- সংসদের রেকর্ড থেকে মুছে গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখের 'আপত্তিকর শব্দ'