নিজেস্ব প্রতিবেদন : ''মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় গুজরাটের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইউপিএ সরকার। চেষ্টা হয়েছিল যত রকম ভাবে সম্ভব রাজ্যটাকে পঙ্গু করার। কিন্তু, এখন দিন বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে গুজরাটও। উন্নয়ন হচ্ছে সর্বস্তরে।'' রবিবার গুজরাটে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই কংগ্রেস শাসিত বিগত ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করেন প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ''আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন থেকেই কেন্দ্রে থাকা ইউপিএ সরকার আমায় শত্রু ভাবত। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আটকে দেওয়া হতো উন্নয়ন।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার গুজরাটের ভাবনগরের ঘোঘা ও বারুচ জেলার দহেজের মধ্যে ফেরি পরিষেবার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা।  দহেজেই একটি জনসভা করেন মোদী। এরপর ভাদোদরায় ব্যাঙ্ক অব বারোদার নতুন সদর দফতরের উদ্বোধন করেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি পানীয় জল পরিষেবা প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


ডিসেম্বরেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কথা পাকাপাকি জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির নির্বাচন সদন। তবে এখনও সেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষিত না হওয়ায় জারি হয়নি নির্বাচনী আচরণবিধি। বিরোধীদের দাবি, কমিশনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গুজরাটে নির্বাচনের দিন ঘোষণা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গেছে নির্বাচনী আচরণবিধি। ভোটগণনার দিন ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গুজরাটের ক্ষেত্রে কেবল বলা হয়েছে হিমাচলে ফল ঘোষণার আগেই সমাপ্ত হবে গুজরাটের নির্বাচন। আর সেই সুযোগেই নাকি একের পর এক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন সেরে মন জয়ের চেষ্টা করছে মোদী প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। রবিবার কার্যত বিরোধীদের সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- ২০১৯ সালে মোদীর প্রত্যাবর্তনের নীল নকশা তৈরি অমিত শাহের