নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশে ‘প্রিয়ঙ্কা-ম্যাজিক’ কাজ করেনি। রাহুল গান্ধী পুরোপুরি ব্যর্থ। একমাত্র সনিয়া গান্ধীর দুর্গই ধরে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মাত্র একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। এমন ভরাডুবি ফলে কংগ্রেসর কর্মীদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। রায়বেরেলি গিয়ে তিনি বলেন, “এখানে কোনও বক্তৃতা রাখতে চাই না। সত্যিটা জানাতে এসেছি। সত্যি হল এই কেন্দ্র জিতেছে একমাত্র সনিয়া গান্ধী এবং রায়বেরেলির জনগণের সাহয্যেই।” সূত্রে খবর, কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল না বলে অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল সনিয়া গান্ধী নির্বাচনের জেতার পর এই প্রথম রায়বেরেলি গিয়েছিলেন। সেখানকার মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে সনিয়ার অভিযোগ, ভোটারদের মন জয় করার জন্য সব ধরনের কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। দেশের মানুষ জানেন এ বারের নির্বাচনে নৈতিকতা-অনৈতিকতার রাজনীতি কীভাবে হয়েছে। দুর্ভাগ্যের যে, ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার হুঁশিয়ারি, খতিয়ে দেখা হবে দলের জন্য কারা কাজ করেনি।


আরও পড়ুন- ‘বায়ু’ ঢুকছে না মোদী রাজ্যে, তবুও প্রস্তুত ঢাল-তরোয়াল নিয়ে


উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে পূর্ব উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস আরও এক তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই মহাজোট তৈরি হয় সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির মধ্য। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের জমি নেই এমন অভিযোগে মহাজোট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই প্রিয়ঙ্কাকে সরাসরি রাজনৈতিক ময়দানে নামিয়ে ট্রাম্প কার্ড খেলেন রাহুল। মনে করা হয়েছিল, প্রিয়ঙ্কার ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে ভোটের বৈতরণী পাড় করবে কংগ্রেস। প্রিয়ঙ্কাকে প্রাক্তন প্রধনামন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ‘ছায়া’ মনে করা হয়। কিন্তু কংগ্রেসের কোনও সমীকরণই খাটেনি এবারের নির্বাচনে।