জ্যোতির্ময় কর্মকার: পদ পাওয়ার পরই ঘরও পেলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। নিউ দিল্লির ২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে রাহুল গান্ধীর ঠিক পাশের ঘরটি বরাদ্দ হল প্রিয়ঙ্কার নামে। এক সময় ওই ঘরটিতে বসেই রণনীতি তৈরি করতেন ‘জেনারেল সেক্রিটারি’ রাহুল গান্ধী। আর তাঁর মা সনিয়া গান্ধীকে রিপোর্ট করতেন তিনি। এ বার সেই ‘ট্র্যাডিশনই’ দেখা গেল ঘর বরাদ্দ ক্ষেত্রেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট


উনিশের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশকেই পাখির চোখ করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মোট ৮০টি আসন। এ রাজ্যেই যার কাছে বেশি সংখ্যা, সেই থাকবে রাজধানী দখলের চালকের আসনে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে লোকসভা নির্বাচন লড়ছে মায়বাতী এবং অখিলেশ জোট। রাহুল গান্ধীর কাছে এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত হলেও মুছড়ে পড়েননি তিনি। উত্তর প্রদেশে তুরুপের তাস খেলেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে রাজনীতির ময়দানে নামিয়ে।



উত্তর প্রদেশে ৮০টি আসনেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। উত্তর প্রদেশ পূর্ব দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। যার মধ্যে ৪৩টি আসনের দায়িত্ব রয়েছে প্রিয়ঙ্কার উপরই। নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী এবং যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে প্রচার চালাবেন সদ্য রাজনীতিতে আসা প্রিয়ঙ্কা। বাকি উত্তর প্রদেশ দেখবেন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধীর তুঘলগ লেনের বাসভবনে উত্তর প্রদেশের রণনীতির খসড় তৈরি করে ফেলেছে কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, যোগীর রাজ্য থেকে যথা সম্ভব আসন জেতার লক্ষ্যে প্ল্যান তৈরিতে নিয়োগ করা হয়েছে রাজ বব্বরের মতো প্রবীণ ৩ নেতা।


আরও পড়ুন- সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত রাজীব কুমারকে জেরার পরিকল্পনা : সিবিআই সূত্র


উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে ৮.৪ শতাংশ ভোট পায় কংগ্রেস। মোদী ঝড়ে কার্যত ফ্লপ ছিল রাহুলের দল। সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র রায়বেরিল এবং আমেঠি ছাড়া আর কোনও আসনই মেলেনি কংগ্রেসের। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় সপা-কংগ্রেস জোট। ধারাবাহিক খারাপ ফলের জন্য কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই জোট করেন বুয়া-ভাতিজা। এখন দেখার রাহুল গান্ধীর তুরুপের তাস প্রিয়ঙ্কা কতটা সাফাল্য পায় গোবলয়ের এই রাজ্য থেকে।