নিজস্ব প্রতিবেদন: গত লোকসভা ভোটে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়লেও অমেঠি কেন্দ্রেই ফের প্রার্থী হবেন রাহুল গান্ধী। তবে রায়বরেলী কেন্দ্রে সনিয়া গান্ধীর ফের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা বঢরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। ভোটগণনার কয়েক দফায় এগিয়েও ছিলেন তিনি। হেরে হেলেও রাহুলকে কড়া টক্করের পুরস্কার হিসেবে কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব পান স্মৃতি। মান      


সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অমেঠি থেকে চতুর্থবার প্রার্থী হতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ২০০৪ সাল থেকে এই কেন্দ্রে অভিষেক হয় রাহুলের। তারপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালের ভোটেও জেতেন তিনি। নেহরু-গান্ধীর পরিবারের 'পৈতৃক' আসন বলে গণ্য করা হয় অমেঠিকে। ১৯৭৭ সালে এই কেন্দ্রে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে হেরেছিলেন রাহুলের কাকা সঞ্জয় গান্ধী। তবে ১৯৮০ সালে জয়লাভ করেন তিনি। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হন রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী। ১৯৮১, ১৯৮৪ ও ১৯৮৯ সালে ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে নিজের অভিষেকে অমেঠি আসনটিকে বেছে নিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। ১৯৯৯ সালে অমেঠির প্রার্থী ছিলেন সনিয়া গান্ধী।  ২০০৪ সালে আসনটি নিজের পুত্রকে ছেড়ে দেন তিনি। 


শোনা যাচ্ছে, রায়বরেলী কেন্দ্রটিও এবার নিজের কন্যাকে ছেড়ে দিতে পারেন। উত্তরপ্রদেশে দলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা বঢরাকে। কংগ্রেসের অন্দরে একাধিকবার তাঁকে সামনে আনার দাবি উঠেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ঠাকুরমা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অনেকখানি মিল রয়েছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতারা। তবে রায়বরেলীর আসন ছাড়া নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে রাহুলের কথা হয়নি বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সনিয়া গান্ধীর উপরেই ছেড়ে দিয়েছে দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছেলের রাজনৈতিক কেরিয়ারের স্বার্থে আসন ছেড়েছিলেন সনিয়া। এবার কি মেয়েকেও বড় ভূমিকায় দেখা যাবে?    


কংগ্রেসের আশা, ২০১৯ সালে আর প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। ২৩০টির কম আসন বিজেপি পেলে কোনওমতেই সরকার গঠন করতে পারবে না তারা। বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে সরকার গঠনের পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ব্যালট পেপারে করানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শরণাপন্ন হচ্ছে ১৭টি বিরোধী দল। আর এই বিরোধী দলের জোট গঠনে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন- শিলচরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল: রাজনাথ সিং