জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের অনেক জায়গায় মানুষের আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের জামালপুরের বেশ কয়েকজনের আধার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। এর পর নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বেশ কয়েকজনের আধার বাতিল হয়ে যায়। এনিয়ে ধীরে ধীরে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গতকাল এনিয়ে সিউড়ির সভা থেকে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আধার নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'আমাদের দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা...!' অশ্বিন ঘরনীর আবেগি পোস্ট, চোখ ভিজল নেটপাড়ার


আধার সমস্যা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যাওয়ার পর খানিকটা অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শোরগোল শুরু করতেই তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তাকে অবগত করান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সুকান্তকে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারও আধার বাতিল হবে না। যাদের বাতিল হয়েছে তাদেরও তা ফের চালু হয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে আধার বাতিল নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।



রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বহু মানুষের আধার ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে পাল্টা সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ইউআইডিএই এর রাঁচি অফিস থেকে অনেকের আধার কার্ড নিষ্কৃয় করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা প্রত্য়াহারের জন্য আমি অমিত শাহ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি ও চিঠিও পাঠাই। তাঁরা আমায় আশ্বস্ত করেছেন সব আধার কার্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের সক্রিয় হয়ে যাবে। মনে হচ্ছে রাঁচি  আঞ্চলিক অফিসের এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল। বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হওয়ার জন্য শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকাও প্রশংসনীয়।


বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আধার বাতিল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দু অধিকারী যা বলছেন তাতে বোঝা যায় তারা একটা বড় চক্রান্ত শুরু করেছিলেন। তাদের জন্যই তাদের সরকারের লোকজন আধার কার্ড থেকে লিঙ্ক কেটে দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রান করছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস চড়া সুরে প্রতিবাদ করার পর তারা পিছু হঠতে বাধ্য় হচ্ছে। যারা বলে আমরা কথা বলে ছাড়াচ্ছি তাদের কথাতেই বোঝা যায়।


অন্যদিকে, সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অনেকে পাসপোর্ট নিয়েও এদেশে এসেছেন। থেকে গিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি নীতগতভাবে বিশ্বাস করে বাঙালি হিন্দুরা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় ধর্মীয় কারণে যদি উত্পীড়নের শিকার হন তাহলে তাদের আশ্রয়স্থল হল পশ্চিমবঙ্গ। এই জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মেঘনাধ সাহার মতো মণীষিরা পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করেছিলেন।


গতকাল সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আধার অচল হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। আধার ছাড়াই রাজ্যসরকার প্রকল্প চালু রাখবে। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এরকম সম্ভব নয়। আমরা বারবার মানুষকে বলছি ভোট যত কাছে আসবে ততই মিথ্যাশ্রী-র বাড়বাড়ন্ত হবে। আধার নম্বর ছাড়া কেন্দ্র কোনও প্রকল্পই মানবে না। উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের জন্য সিএএ প্রয়োজন। খুব তাড়াতাড়ি সিএএ চালু হবে। যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তারা সবাই সিএএ-তে আবেদন করুন। আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টির। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি কারও একটি চুলও বাঁকা হবে না। সেই দায়িত্ব আমারা নিচ্ছি।


পুলিসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে আমি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর পুলিস কী করেছে? তারা আমরা গাড়ি আটকেছে। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমরা গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের ক্ষমতা থাকলে বলুক। বাংলায় আমি জেড ক্যাটিগরি নিরাপত্তা পাই। আমাকে পুলিসের গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় ২ পিএসওকে সঙ্গে দিয়ে। তাদের কাছে ছোট আর্মস ছিল। আমরা পিএকে গাড়িতে উঠতে দেয়নি। আমরা গাড়ির পেছনে যে এসকর্ট গাড়িকে আমার সঙ্গে আসতে দেওয়া হয়নি। সরকারের তরফে বলা হয়েছে টাকিতে ১৪৪ ধারা ছিল। এরকম কোনও ধারা টাকিতে লাগু ছিল না।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)