নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লি গিয়েও পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনের রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে এদিন তাঁর কী কথা হল তা প্রকাশ্যে বলতে অস্বীকার করেন রাজ্যপাল। তবে তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য রাজনৈতিক সংঘর্ষ থেকে শুরু করে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প বাংলায় চালু না করা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। ফলে শাসক(TMC) দলের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন রাজ্যপাল। এনিয়ে ধনখড় বলেন, 'অনেকে প্রশ্ন করেন রাজ্যপালের ভূমিকা কী? রাজ্যপাল ও যে কোনও নাগরিকের অধিকার রয়েছে গণতন্ত্রকে বাঁচানো। েটাই আমি করছি। আমি রাজনীতিবিদ নই। রাজনীতি নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমার লক্ষ্য রাজ্যে আইনের শাসন বজায় থাকুক।'


আরও পড়ুন-LIVE: শস্যভাণ্ডারে 'হলধর' Nadda, রোড-শো-এ জনজোয়ার


ধনখড় বলেন, 'কোনও কোনও মহল থেকে বলা হয়, আমি নাকি অতি সক্রিয়। কিন্তু সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়ে এই পদে এসেছি। তাই যখনই সংবিধানকে ছোট করার মতো কিছু ঘটবে তখন আমি সরব হই।'


পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের একাংশ শাসক দলের ইশারায় চলছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন ধনখড়। শনিবার দিল্লিতেও সেকথা টেনে আনেন। বলেন, একজন সরকারি কর্মী যদি রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করেন তাহলে তা আইনের শাসনের জন্য মহা বিপদ। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। সাংবিধান অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালন করুন। শুনলে অবাক হবেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস একজনকে নোটিস দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে, কেন আপনি আদালতে গিয়েছিলেন। আমি তো শুনে অবাক। এনিয়ে ডিজির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। উনি জানিয়েছেন, পুলিস তার নিদের কাজ করছে। ভাবা যায়! এতো গণতন্ত্রের ওপরে পেরেক পোঁতার সামিল।


আরও পড়ুন-অপেক্ষা শেষ, ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে দেওয়া শুরু হবে করোনার টিকা


রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে ধনখড়ে স্পষ্ট অভিযোগ, বিশেষ রাজনৈতিক দল করার জন্য খুন হতে হচ্ছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এই ভোটে যাতে রক্ত না ঝড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই চেষ্টাই করছি। প্রতিমাসে আমাকে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিযে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। আগের দুটি নির্বাচনে রক্ত ঝড়েছে। তাই এবার ভোটে রাজ্যে ভোটদাতারা চাপে থাকবেন। অনেকে বলেন, আমার সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত রয়েছে। কিন্তু এমন কথা আমার মনে হয় না। তাবে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাজনীতি করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করা যাবে না। বারবার এনিয়ে বলার ফলে অনেকে সতর্ক হয়েছেন। কেউ আইনের শাসনের বাইরে গেলে তা অগ্রাহ্য করা যায় না। এটা অপরাধ। তাই ওই অপরাধ করতে পারব না।