নিজস্ব প্রতিবেদন- ফের পুলওয়ামার মতো হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সেনার তত্পরতায় শেষমেশ বড় নাশকতার ছক বানচাল হল। আর সব থেকে অবাক করার মতো ব্যাপার হল, এবার যে জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে সেটিও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে বেশি দূরে নয়। সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোট ৫২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। বড় রকমের কোনও নাশকতার কাণ্ড ঘটানোর জন্যই একসঙ্গে এত বিস্ফোরক জড়ো করেছিল জঙ্গিরা। যদিও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বিস্ফোরক যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেখানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনা ও সিআরপিএফ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীরের গডিকালের করেবা এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক। ৪১৬টি প্যাকেটে বিস্ফোরক মজুত করে রাখা ছিল। যে এলাকা থেকে এত বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে সেটি রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ থেকে বেশি দূরে নয়। সেনার তরফে জানানো হয়েচে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। ওই এলাকায় বিস্ফোরক লুকোনো রয়েছে বলে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়েছিল সেনা। তার পরই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। পর পর দুটি ট্যাঙ্ক থেকে মোট ৫২ কেজি সুপার ৯০ ও এস ৯০ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ৫০টির মতো জিলেটিন স্টিক ও ডেটোনেটর উদ্ধার করেছে সেনা।


কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে নাশকতার ঘটনা ৫৪ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে সেনা ও পুলিসের উপর জঙ্গিদের আক্রমণের ঘটনা চলছেই। এরই মধ্যে জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছেন উপত্যকার একের পর এক নেতা-মন্ত্রী এরই মধ্যে তাঁদেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে দিনকয়েক আগে হিজবুল মুজাহিদিনের কাছ থেকে হুমকি চিঠি পেয়েছেন কাশ্মীরের একাধিক বিজেপি ও কংগ্রেস নেতা। তার পর থেকেই তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে ১৭৭ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক কুখ্যাত জঙ্গি নেতাও রয়েছে।