নিজস্ব প্রতিবেদন : পেশাদাররা বিজনেস কার্ডের মাধ্যমে নিজেদের পরিচয়, যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বাড়ির কাজের ডান হাতই বা কেন পিছিয়ে থাকবেন। তাঁকেও তো অনেক গ্রাহকের ঝক্কি সামলাতে হয়। নতুন কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচারেরও। এই ভাবনাটাই মাথায় ঘুরছিল ধনশ্রী শিন্ডের। বাড়ির 'কাজের মাসির' জন্য একটা বিজনেস কার্ড বানিয়ে দিলে কেমন হয়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজেই ডিজাইন করে বানিয়ে ফেললেন কেতাদুরস্ত বিজনেস কার্ড। আর তারপর তা তুলে দিলেন কাজের মাসি গীতা কালের হাতে। ছবি পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। তবে, গল্পটা এখানেই শেষ নয়। সেই বিজনেস কার্ডের দৌলতেই এখন রীতিমতো টানাটানি শুরু হয়েছে পুনের কাজের মাসি গীতা কালেকে নিয়ে। বিজনেস কার্ডের নম্বরে একের পর এক ফোন আসছে তাঁর কাছে। সকলেই চাইছেন পেশাদার কাজের মাসিকে নিজের বাড়িতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু হঠাত্ কাজের মাসির জন্য বিজনেস কার্ড বানাতে গেলেন কেন? হাসিমুখে ধনশ্রী জানালেন, একদিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখলেন তাঁর কাজের মাসি গীতার মুখটা কেমন থমথমে। প্রথমে কী হয়েছে জানতে চাইলেও তা বলতে চাননি গীতা। পরে জোরাজুরি করায় গীতা জানান, তাঁর একটা বাড়িতে কাজ চলে গিয়েছে। ফলে, এক ধাক্কায় প্রায় ৪,০০০ টাকা কম রোজগার হচ্ছে তাঁর। এর পরেই উপায় ভাবতে শুরু করেন ধনশ্রী। কীভাবে তাঁর কাজের মাসির জন্য আরও বেশ কয়েকটি কাজ খুঁজে দেওয়া যায়, তাই নিয়ে ভাবতে ভাবতেই মাথায় আসে বিজনেস কার্ডের আইডিয়া। সঙ্গে সঙ্গেই নিজের কার্ডের মতো করেই কাজের মাসির জন্য একটি বিজনেস কার্ড বানিয়ে ফেলেন তিনি। প্রিন্ট করান ১০০টা কার্ড। 



এর পর আসে কার্ড বিলির পালা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্ডের ছবি দেওয়ার পাশাপাশি আবাসনের ওয়াচম্যানের হাতেও বেশ কিছু কার্ড দিয়ে আসেন ধনশ্রী। সেই কার্ড বিলি করা হয় আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে। 


তার পর থেকে আর নতুন কাজ পাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি গীতাকে। পরের দিন সকাল থেকেই একের পর এক ফোন আসতে থাকে গীতার নম্বরে। শুধু পুনে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্ট দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক বিত্তশালীরাও মোটা টাকার বিনিময়ে গীতাকে তাঁদের বাড়িতে কাজ করার অফার দেন। আর সেটাই তো স্বাভাবিক। বিজনেস কার্ডসহ কাজের মাসি দেশে আর ক'জন আছেন?  


আরও পড়ুন : তিন সন্তানকে নিয়ে জলপান মায়ের, দেখুন ফরেস্ট অফিসারের ভিডিয়ো