Punjab Assembly Election 2022 Result: পঞ্জাবের তখতে AAP, জয়ের পেছনে এই ৫ ফ্যাক্টর?
প্রচারের অনেক আগে থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে রাঘব চাড্ডা, ভগওয়ান্ত মান, বলজিন্দর কৌররা বলে গিয়েছেন, `লোগ বদল চাহতে হ্যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের ডামাডোলের সুযোগে পঞ্জাবে ক্ষমতায় চলে এল আম আদামি পার্টি। দিল্লির বাইরে এখন পঞ্জাবেও ডিফ্যাক্টো মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালই। আপ-র ঝাড়ুর দাপটে 'হাত' ছাড়া পঞ্জাব।
রাজ্য বিধানসভার ১১৭ আসনের মধ্যে এখনওপর্যন্ত ৯২ আসনে জয়ী আম আদামি পার্টি। কংগ্রেস পেয়েছে ১৮ আসন। ফলপ্রকাশের আগেই এনিয়ে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন ভোট পণ্ডিতরা। তবে আপ সমর্থকার বলছেন এ হল 'সর্দারও কী পসন্দ'।
এবার ভোটের ময়দানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চন্নি, নভজ্যোত সিং সিধু, প্রকাশ সিং বাদল, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের মতো হেভিওয়েটরা। এদের অধিকাংশ আছাড় খেয়েছেন জনাদেশের কাছে। কিন্তু কোনও কোনও মহল এমনও বলেছিল যে এবার পঞ্জাবে আপের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকলেও লড়াই হবে সমানে সমানে। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে আপ। রাজনৈতিক মহলের ধারনা আপ-র এই জয়ের পেছনে কাজ করেছে ৫ ফ্য়াক্টর।
কংগ্রেসের ঘরোয়া বিবাদ
বিজেপি থেকে নভজ্য়োত সিং সিধুকে আমদানি করার পর আগুন লেগে যায় কংগ্রেসের ঘরে। শুরু হয়ে যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলস্বরূপ সরতে হয় ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে। মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরণজিত সিং চন্নিকে। সেই সময় কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছিল পিছড়েবর্গের নেতাকে চন্নিকে সামনে আনলে বিধানসভা ভোটে সুবিধে পাবে কংগ্রেস। তার ছিটেফাঁটাও দেখা গেল না ফলাফলে। উল্টে দল ছেড়ে নতুন দল গঠন করলেন প্রাক্তন ফৌজি অমরিন্দর সিং। পাশপাশি সিধুকে নিয়ে একাধিক গোষ্ঠী গজিয়ে যায় কংগ্রেসে।
আপ-র বাজি ভগওয়ান্ত মান
জানুয়ারি মাসে যখন ভোটের হাওয়া উঠতে শুরু করেছিল সেই সময় ভগওয়ান্ত মান-কে নেতা হিসেবে সোস্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা শুরু করে। ভগওয়ান্ত মানের পক্ষে মানুষের সমর্থনের একটা সমীক্ষা করে ফেলে আপ। তার পরেই ২ বারের এমপি মানকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে আপ।
আপ-র প্রচারে চমক
প্রচারের অনেক আগে থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে রাঘব চাড্ডা, ভগওয়ান্ত মান, বলজিন্দর কৌররা বলে গিয়েছেন, 'লোগ বদল চাহতে হ্যায়'। এই স্লোগানে ভরে করে একদিকে কংগ্রেস এবং অন্যদিকে শিরোমনি অকালি দলের শাসনকে নিশানা করতে থাকে আম আদমি পার্টি। দেখা গিয়েছে দিল্লি থেকে আসা আপ-কে কংগ্রেস ও অকালি দল যতই আক্রমণ করেছে ততই তাদের ভোট কমেছে।
রাজ্যকে ৩ অঞ্চলে ভাগ করে পৃথক স্ট্রাটেজি
রাজ্যের ১১৭ আসনের মধ্যে ৬৯ আসন রাজ্যের মালওয়া অঞ্চলে, ২৫টি মাঝায় এবং ২৩ আসন রয়েছে দোয়াবা অঞ্চলে। ওই তিন অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদ রণনীতি তৈরি করলেও সুন্দরভাবে য়োগসূত্রে বজায় রেখেছিল আপ। মালওয়া আপ-এর শক্ত ঘাঁটি। সেখান থেকেই লড়াই করেছিলেন ভগওয়ান্ত মান। প্রত্যেকটি জায়গাতেই জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কোথাও কৃষির উন্নতি তো কোথাও শিল্পের প্রতিশ্রুতি। তাতে ফলও মিলেছে। তার কারণ দিল্লিতে বস্তি, শিক্ষা, জল সরবারহের মতো যেসব কাজ সাফল্যের সঙ্গে আপ করেছে সেগুলিই বারবার তুলে ধরা হয়।
কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ
দিল্লিতে যখন কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন চলছে সেইসময় পঞ্জাবে কংগ্রেস গৃহযুদ্ধে ব্যস্ত। সেই জায়গাটা দখল করেছিল আপ। দিল্লিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থন দিয়ে তাদের সঙ্গে থাকার বার্তা দিতে পেরেছিল আপ। যদিও কৃষকদের সঙ্গে ধরনায় সমিল হওয়ার সুযোগ আপ পায়নি তবুও তাদের নৈতিক সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি বারবার নির্বাচনে প্রচার করেছিল আপ। তাতেই মিলছে ফল।
আরও পড়ুন-'উত্তরে আদিত্যোদয়', আলাদা আসনে লড়েও 'যাদব-গড়ে' অখিলেশকে হারালেন যোগী