নিজস্ব প্রতিবেদন: এ বার ঘর থেকেও গঞ্জনা শুনতে হল কংগ্রেস নেতা নভজোত্ সিং সিধুকে। তাঁর বিরুদ্ধে খোদ সমালোচনায় নামলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। পাক জেনারেলকে আলিঙ্গন করার সমালোচনা করে অমরিন্দর স্পষ্ট বলেন, “প্রতি দিন আমাদের জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন। পাক সেনা প্রধানকে আলিঙ্গন করায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাঁর বোঝা উচিত আমাদের জওয়ান প্রতি দিন শহিদ হচ্ছেন তাদের জন্যই।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করায় ‘দেশদ্রোহী’ সিধুর ফাঁসি হওয়া উচিত, দাবি বিজেপি নেতার


অমরিন্দর আরও বলেন, “আমার রেজিমেন্টই এক মেজর এবং দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ওই ব্যক্তি (জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া)-র নির্দেশে ওদের সেনা গুলি চালায়। আর এখানে প্রতি দিন নিহত হন জওয়ানরা।” শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন অমরিন্দর মন্ত্রিসভার এই নেতা। সেখানে ইমরানের পাশাপাশি পাক সেনা প্রধানের সঙ্গেও আলিঙ্গন করেন নভজোত্ সিধু। যার পরই বিতর্ক তৈরি হয়। চাঁচাছোলা ভাষায় বিদ্ধ করে বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে সে ভাবে প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি। কিন্তু আজ তিনি বুঝিয়ে দেন সিধু পাক সফরে কংগ্রেসের কোনও সমর্থন ছিল না। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিধু নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাকিস্তান গিয়েছেন। এ বিষয়ে দলের কোনও যোগ নেই।”


আরও পড়ুন- পুনে, মুম্বই, ইন্দোরের এটিএম থেকে চুরি হয়েছে কসমস ব্যাঙ্কের টাকা


শুধুই আলিঙ্গন নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের মাসুদ খানের পাশে বসেও বিতর্কে জড়ান এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। অমরিন্দর নাম না করে বলেন, “তাঁর (সিধু) জানা উচিত ছিল কার পাশে বসেছেন তিনি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রেসিডেন্টের পাশে বসে রয়েছেন তিনি।” যদিও সিধুর সাফাই, “অতিথি হয়ে গিয়েছি। তাঁদের নির্দেশ মানাটা ভদ্রতার পরিচয়। ওনার (মাসুদ খান) পাশে বসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমায়।” পাশপাশি পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন করা বিষয়ে যুক্তি দিয়েছেন ‘রসিক’ কংগ্রেস নেতা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিধু জানান, জাভেদ নিজেকে জেনারেল পরিচয় দিয়ে বলেন এক জন ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। দুই দেশের মধ্যে শান্তি চেয়েছেন পাক সেনা প্রধান। তবে, পাকিস্তানের কারতারপুরে গুরুদ্বার করিডর পুনরায় খোলা বিষয়ে জাভেদের সঙ্গে আলোচনা হয় এই কংগ্রেস নেতার। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কারতারপুরে গুরুদ্বার দরবার সাহেব করিডর খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাভেদ। কথিত আছে, এখানেই শেষ জীবনটা কাটিয়েছেন গুরুনানক। সিধু বলেন, “সেই স্বপ্ন সত্যিই হতে চলেছে।”