জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় নৌ সেনার ৮ কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতারের আদালত। ওই রায়ের কপি সরকারিভাবে ভারতের হাতে এখনও পৌঁছয়নি। তবে তার আগেই ওইসব নৌ সেনাকর্মীর পরিবারকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি প্রাক্তন ওই নৌসেনা কর্মীদের সাজা থেকে বাঁচাতে বিকল্প কী ব্যবস্থা রয়েছে তার খোঁজখবর করতে শুরু করেছে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ট্রেন লেট করেছিল ১৩ ঘণ্টা, রেলকে বিপুল টাকা জরিমানা করল আদালত


বৃহস্পতিবার এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে কাতারের ওই পদক্ষেপে স্তম্ভিত ভারত। এর পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেওয়া য়ায় তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।


এখন কী রাস্তা খোলা রয়েছে ভারতের সামনে? ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, কাতারের আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে কেন্দ্র। আর একটি দিক হল ২০১৫ সালে কাতারের সঙ্গে ভারতের একটি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ওইসব সাজাপ্রাপ্তদের ভারতে এনে শাস্তি দিতে পারে কেন্দ্র। ওই চুক্তিতে সাক্ষর করে কাতার। ওই বছর ভারতে আসেন কাতারের আমির সেখ তামিম বিন হামাদ। সেই সফরে তিনি ৬টি চুক্তিতে সাক্ষর করেন। তার বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও ছিল।


এদিকে, ওই দুই রাস্তার পাশাপাশি আরও একটি পথ খোলা রয়েছে ভারতের সামনে। সেটি হল আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে যাওয়া। পাকিস্তানের জেলে আটক কুলভূষণ যাদবকে ছাড়াতে আন্তর্জাতিক আদালতে আপিল করেছিল ভারত। ওই ৮ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে যখন আটক করা হয় তখন তারা কাজ করতেন দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ট কনসালটেন্সি সার্ভিসে। ওই কোম্পানিটি কাতার সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাকে ট্রেনিং দিয়ে থাকে। কাতার নৌ বাহিনী ইতালি থেকে সাবমেরিন কেনার কথাবার্তা চালাচ্ছিল। সেই বিষয়টিই দেখাশোনা করত ওইসব নৌসেনা কর্মীরা। এমনটাই খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)