নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল নিয়ে ফের মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির প্রশ্নে নির্মলার পাল্টা প্রশ্ন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-র সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ হয়েছে কোন সরকারের আমলে? মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান উমেন’স প্রেস কর্পস (আইডব্লিউপিসি)-র এক আলোচনা সভায় নির্মলা বলেন, কংগ্রেস সরকারের আমলেই হ্যাল-তে রাফাল তৈরির বিষয়টি কার্যকর হয়নি। কেন্দ্রীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল-এ বেশি সংখ্যক রাফাল তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় পিছিয়ে আসতে হয়েছে মনমোহন সরকারকে। ইউপিএ সরকারে আমলেই হ্যাল রাফাল তৈরির দায়িত্ব পায়নি বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এ দিন সকালে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি অভিযোগ করেছিলেন, দেশের একমাত্র যুদ্ধবিমান তৈরির সংস্থাকে কালিমালিপ্ত করছেন নির্মলা সীতারামন। নিজের মন্ত্রকের অধীনে থাকা এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে  এভাবে নিচু করে দেখানোর মধ্যে হয়তো কোনও কৌশল রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এ কে অ্যান্টনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন রাফাল বিষয় ছাড়া নভজ্যোত সিধু প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, সিধু অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার। এই স্তরের মানুষ যখন পাকিস্তানের সেনা প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন, তখন দেশবাসির কাছে নেতিবাচক বার্তা যায়। দেশের জওয়ানরা মর্মাহত হন। পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন এড়ালে ভালই করতেন সিধু।


উল্লেখ্য, অগস্টে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত্ সিং সিধু।  সেই মঞ্চে সে দেশের সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজোয়ার সঙ্গে সিধুকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গভর্নরের পাশে বসে বিতর্কে আরও বেশি করে ঘি ঢালেন সিধু। যদিও প্রাক্তন ক্রিকেটারের সাফাই, কারতারপুর করিডর খুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন পাক সেনা প্রধান। এই করিডর খুলে গেলে পাকিস্তানের অবস্থিত গুরু নানকের স্মৃতি বিজরিত স্থানে অবাধে যেতে পারবেন শিখরা।