নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটের ভোটে বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন। সামান্য ব্যবধানে হারের পর বলেছিলেন, এটা নৈতিক জয়। গুজরাটের ভোটে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু, উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের ভোট সব হিসেবনিকেশ পাল্টে দিয়েছে। সুযোগ পেয়েই নাম না করে রাহুলকে নিশানা করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত। অন্যদিকে, নীরবই ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। দু'দিন পর সোমবার টুইটারে সরব হয়ে রাহুল লিখলেন, ''জনাদেশকে সম্মান করে কংগ্রেস।''  
            
ত্রিপুরায় এবার কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস। নাগাল্যান্ডে একটাও আসন পায়নি তারা। মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গঠিত হলেও কংগ্রেসের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে। বস্তুত, এবারের ভোটে উত্তর-পূর্বকে কংগ্রেসমুক্ত করে দিয়েছে মোদী-শাহ জুটি। পরাজয় স্বীকার করে রাহুল বলেন, ''উত্তর-পূর্বে দলকে শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মানুষের ভরসা ফিরে পাব। আমি সকল কংগ্রেস কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'' 



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার ফলপ্রকাশের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কটাক্ষ করে বলেন, ''ইতালিতে নির্বাচন হচ্ছে বলে হোয়াটসঅ্যাপ পেয়েছি।'' নরেন্দ্র মোদী আবার তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ''একটা দলে পদ বেড়ে যায়। তবে নেতার গুরুত্ব কমতে থাকে।'' 


উত্তর-পূর্বের নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই হোলির ছুটিতে ইতালিতে দিদার বাড়িতে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। মোক্ষম সময়ে রাহুল গান্ধীর এমন বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। মণিপুর, গোয়ার পর মেঘালয়েও কংগ্রেস বৃহত্তম দল হলেও শেষ পর্যন্ত বাজি জিতে নিয়েছে বিজেপি। আর সে সময় দেখা নেই রাহুল গান্ধীরই। একসময় বিজেপি খোঁচা দিত, রাহুল পার্টটাইম রাজনীতিক। দলের সভাপতি হওয়ার পরও রাহুলের এমন আচরণে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতিকে সত্যিই কতটা গুরুত্ব দেন রাহুল?       



আরও পড়ুন- দুই বিধায়ক নিয়েই মেঘালয়ে কংগ্রেসের হাতে পেন্সিল ধরাল বিজেপি